FATF কে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ পাকিস্তান, ইমরান খানের দেশকে দেওয়া হল কড়া হুঁশিয়ারি (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- এফএটিএফের ধূসর তালিকাতেই রয়ে গেল পাকিস্তান
- দেওয়া হল ভবিষ্যতে কালো তালিকাভুক্ত করারও হুমকি
- সন্ত্রাসবাদীদের মদত জোগাতে ব্যর্থ হওয়াতেই ওই পদক্ষেপ
নয়া দিল্লি: নিজেদের দেশে সন্ত্রাস দমনে ব্যর্থ ইমরান খানের সরকার (Pakistan), তাই এফএটিএফের "ধূসর তালিকা"-তেই (FATF Grey List) রইল পাকিস্তান। সন্ত্রাসের জন্যে অর্থ জোগানের (Terror Funding) বিরুদ্ধে নজরদারি করা আন্তর্জাতিক সংস্থাটিকে সন্তুষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রতিবেশী দেশটি। তাই তৃতীয় ডিজিটাল বৈঠকে পাকিস্তানকে "ধূসর তালিকা" থাকে রেহাই না দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এফএটিএফের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, "এফএটিএফ আপাতত আগামী অক্টোবরে পরবর্তী বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" ওই কর্তা আরও বলেন, এফএটিএফ মনে করে যে লস্কর-ই-তৈবা, জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে আর্থিক তহবিল জোগান দেওয়ার বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে লুকনো ঘাঁটি থেকে গুলি চালাচ্ছে জঙ্গিরা, এনকাউন্টারের পথে সেনা
বুধবার এফএটিএফ-এর ৩৯ সদস্য দেশের মধ্যে একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের বৈঠক হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হওয়া সেই বৈঠকে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থাটি জানায়, নির্ধারিত ২৭টি শর্তের মধ্যে ১৩টিই পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। অতএব ধূসর তালিকার বাইরে রাখা যাবে না পাকিস্তানকে। পাশাপাশি, রীতিমতো হুমকির সুরে বলা হয়, লস্কর-ই-তৈবা অথবা জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আর্থিক মদত জোগানো পুরোপুরি বন্ধ না-করলে কালো তালিকায় নেমে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে পাকিস্তানকে।
জঙ্গিদের অস্ত্র জোগান দিতে জম্মু ও কাশ্মীরের আকাশে পাক ড্রোন! নামানো হলো গুলি করে
এর আগে এফএটিএফের হুঁশিয়ারি পেয়ে তড়িঘড়ি জইশ প্রধান হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। কিন্তু ওই পর্যন্তই। তারপর ওই জঙ্গি নেতাকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে কোনওরকম তৎপরতা দেখানো হয়নি ইমরান সরকারের তরফ থেকে।
পাকিস্তানকে "ধূসর তালিকা"-তে প্রথম রাখা হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে হওয়া এফএটিএফের বৈঠকে। সেই সময় এক রিপোর্টে বলা হয়, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী পাকিস্তানকে ওই তালিকায় রাখা হল। কারণ হিসাবে বলা হয়, লস্কর-ই-তৈবা, জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের মতো সংগঠন বা তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তান অবশ্য দাবি করেছে যে তারা বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।