পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক প্রকাশ করেছে ৪ মিনিটের ওই ভিডিওটি।
হাইলাইটস
- আগামী ৮ নভেম্বর ওই করিডরের উদ্বোধন হবে
- তার আগেই বিতর্ক ছড়াল খালিস্তানিদের ছবি ঘিরে
- ৪ মিনিটের এক ভিডিওয় ওই পোস্টার দেখা গিয়েছে
নয়াদিল্লি: কর্তারপুর করিডরের ((Kartarpur Corridor) ) সূচনা করা হল তীর্থযাত্রীদের (Indian Sikh Pilgrims) পাকিস্তানে (Pakistan) যাত্রার পথ সুগম করতে গিয়ে। কিন্তু করিডরের একটি ভিডিও ঘিরে ছড়াল বিতর্ক। সেখানে দেখা মিলল তিন খালিস্তানি (Khalistan) বিচ্ছিন্নতাবাদীর ছবি দেওয়া পোস্টারের। তাতে ‘খালিস্তান ২০২০' লেখা। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক প্রকাশিত ৪ মিনিটের ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানের গুরুদ্বারের পথে চলেছেন। পিছনে দেখা যাচ্ছে, একটি পোস্টার। তাতে দেখা যাচ্ছে তিন খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীকে। তাঁরা হলেন ভিন্দ্রানওয়ালে, মেজর জেনারেল শাবেগ সিংহ এবং অমৃক সিংহ খালসা। ভিন্দ্রানওয়ালে ছিলেন শিখদের ধর্মীয় সম্প্রদায় দমদমি তকশলের প্রধান। মেজর জেনারেল শাবেগ সিংহকে ১৯৮৪ সালে দুর্নীতির দায়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে তিনি খালিস্তানি আন্দোলনে যোগ দেন। অমৃত সিংহ খালসা ছিলেন খালিস্তানি ছাত্র নেতা। ১৯৮৪ সালের জুন মাসে অমৃতসরে ভারতীয় সেনার তরফে অপারেশন ব্লু স্টারের সময় ওই তিনজনই মারা যান।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে, পাকিস্তান সুযোগের অপব্যবহার করে পাঞ্জাবে শিখ জঙ্গিবাদকে জাগিয়ে তুলতে এই করিডরকে ব্যবহার করতে পারে। কিছু ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্সি ও বিশেষজ্ঞরাও এই পথ খোলার ব্যাপারে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মার্কিনি এক খালিস্তানি গ্রুপ রয়েছে যাদের নাম ‘শিখস ফর জাস্টিস'। তারা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে ওই করিডরকে ব্যবহার করে নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে চাইছে।
আগামী ৮ নভেম্বর ওই করিডরের উদ্বোধন হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন ভারতের পক্ষে। অন্যদিকে করিডরের অপর প্রান্তে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সূচনা করবেন এই পথের।
কর্তারপুর করিডরের মাধ্যমে পাঞ্জাবে অবস্থিত দেরা বাবা নানক শিরিনের দরবার সাহিবকে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে নরোয়াল জেলায় অবস্থিত এই শিখ ধর্মক্ষেত্র। বিশ্বাস অনুযায়ী, এখানেই শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর কাটিয়েছিলেন। কর্তারপুর করিডর দিয়ে ভারতীয় শিখদের পাকিস্তানে শিখ তীর্থক্ষেত্র দরবার সাহিবে যাওয়ার জন্য দু'দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ‘জিরো পয়েন্ট'-এ।