মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্টের তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল পাকিস্তান। এবার সেই বক্তব্যই ফিরিয়ে নিতে চলেছে তারা- এমনটাই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলের কাছে বুধবার ইউএস, ইউকে, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশ পাকিস্তানের মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট হিসাবে দাগিয়ে দিতে চেয়েছিল, যার ফলে বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে তার অবাধ যাতায়াত আটকে, সম্পত্তি ও অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছিল। আর সেখানেই বাধ সেধেছিল পাকিস্তান। আর যারা এই দাবি করেছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছিল পাকিস্তান।
মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে না জানলেও মাসুদ আজহারকে ইউএন কাউন্সিলের দেওয়া গ্লোবাল টেররিস্টের তকমার বিরোধিতা আর করবে না পাকিস্তান একথা শোনা যাচ্ছে।
বালাকোটে কী হয়েছিল? তা বলতে পারে উপগ্রহ চিত্র, মান্যতা পেতে পারে ভারতের দাবি
এর আগে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে জইশ- ই- মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজাহারকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ ঘোষিত জঙ্গি ঘোষণার দাবি আরও জোরাল হয়। আমেরিকা এবং ব্রিটেনের সঙ্গে ফ্রান্সও কয়েক দিন আগে সেই দাবি জামিয়েছে। নিজেদের আবেদনের সঙ্গে মাসুদ আজাহারের সাম্প্রতিক ছবিও দিয়েছে এই তিনটি দেশ। এই প্রস্তাব পেশ হয়ে গেল গ্লোবাল টেররিস্ট তালিকায় নাম তুলে ফেলবে ভারতের মাটিতে ঘটে যাওয়া একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মাস্টার মাইন্ড মাসুদ আজাহার। একযোগে তিন রাষ্ট্র আবেদন করায় সেই দাবি আরও জোরাল হয়। এই রাষ্ট্রগুলি রাশিয়াকেও পাশে পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার কারণ রাশেই অতীতে এই দাবিকে সমর্থন করেছে। গত বুধবার থেকে ১০টি কাজের দিনের মধ্যে নতুন আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিরাপত্তা পরিষদকে। মৌলানা এবং পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপের ইতিহাস সুবিদিত। সাম্প্রতিক পুলওয়ামার হামলা বাদ দিলেও একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি জড়িত মৌলানা মাসুদ আজাহার। তবে তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান। গোটা দেশে সে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায়।
তার জঙ্গি কার্যকলাপের তালিকা বিরাট। ২০০১ সালে ভারতের সংসদ ভবনে হামলা থেকে শুরু করে পাঠানকোট বায়ু সেনা ঘাঁটিতে হামলা- অনেক ব্যাপারে সে জড়িত।