SAARC: এস জয়শঙ্করের উদ্বোধনী ভাষণের সময় উপস্থিত থাকলেন না পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী।
নয়া দিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমশই উত্তাপ বাড়ছে। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিত্বে সার্ক অন্তর্ভুক্ত (SAARC) দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকেও ছড়িয়ে পড়ল কাশ্মীর ইস্যুকে (Jammu and Kashmir) কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সংঘাত । আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়াই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উদ্বোধনী বক্তব্যের সময় গরহাজির রইলেন। তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) ওই সম্মেলন ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে অবশ্য সেখানে পৌঁছন পাক বিদেশমন্ত্রী। তারপরেই শাহ মেহমুদ কুরেশি ঘোষণা করেন যে তাঁর দেশ "কাশ্মীর"-এর অবরুদ্ধ অবস্থা স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত "ভারতের সঙ্গে কোনও সম্মেলনে একসঙ্গে যোগ দেবে না জড়িত থাকবে না", এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া ।
"পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতেই পারি, কিন্তু টেররিস্তানের সঙ্গে কথা নয়": ভারত
সার্কের বৈঠকের পরে এস জয়শঙ্কর টুইট করেছেন, "আমাদের সামনে প্রকৃতঅর্থেই কেবল সুযোগ হাতছাড়া করাই নয়, ইচ্ছাকৃত বেশ কিছু বাধাও রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ তাদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের দৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদকে সমস্ত রূপে নির্মূল করা কেবল পূর্ববর্তী শর্তই নয় এটা আবশ্যিক। আমাদের নিজেদের অঞ্চলে নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য কেবল ফলপ্রসূ সহযোগিতার প্রয়োজন।
অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই তা নিয়ে ঘোরতর আপত্তি জানিয়ে আসছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। তবে ইতিমধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বীকার করেছেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই ইস্যুটি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সুর গরম করলেও অন্য দেশগুলির থেকে সেভাবে কোনও সমর্থন মেলেনি।
"আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি হতাশ...তাঁরা মোদির উপর কোনও রকম চাপ সৃষ্টি করছেন না" বলেন ইমরান খান, তিনি আরও যোগ করেন যে, "আমরা যদিও ক্রমাগত এই চাপ দিতেই থাকবো"
"৫ অগাস্টের আগে কাশ্মীরে জগাখিচুড়ি ছিল": ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদে বললেন এস জয়শঙ্কর
বৃহস্পতিবার, ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসান টুইট করে জানায় যে, কুরেশি "সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এস জয়শঙ্করের বক্তব্য চলাকালীন তিনি সেখানে উপস্থিত থাকতে রাজি হননি"।
এদিকে আজই (শুক্রবার) রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার জন্যে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তাই সকলের নজর এখন আজকের এই বৈঠকের দিকে। পাশাপাশি যেভাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়া এড়ালেন পাক বিদেশমন্ত্রী, তাতে এই জল্পনাও উস্কে উঠছে যে, আজ (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণের সময় সেখানে উপস্থিত থাকবেন তো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান? কেননা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পর ওই একই অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীরও।
দেখে নিন সেরা খবরগুলি: