This Article is From Oct 14, 2019

গ্রেফতার হওয়া চার জঙ্গি নেতার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করুক পাকিস্তান: আমেরিকা

আমেরিকা জানিয়ে দিল, পাকিস্তানকে অবশ্যই তাদের জঙ্গি নেতাদের (Terrorist) বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

গ্রেফতার হওয়া চার জঙ্গি নেতার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করুক পাকিস্তান: আমেরিকা

২০০৮ মুম্বই হামলার প্রধান চক্রী ছিল হাফিজ সঈদ। (ফাইল ছবি)

হাইলাইটস

  • পাকিস্তানকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা নিয়ে আলোচনা চলছে
  • সন্ত্রাসে অর্থ বিনিয়োগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চার জঙ্গি নেতাকে
  • গত বছরের জুন মাসে পাকিস্তানকে ‘ধূসর তা‌লিকা’র অন্তর্ভুক্ত করা হয়
ওয়াশিংটন:

পাকিস্তানকে (Pakistan) ‘কালো তালিকাভুক্ত' করা হবে কিনা, সেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স'। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা (US) জানিয়ে দিল, পাকিস্তানকে অবশ্যই তাদের দেশের মাটিতে জঙ্গি গোষ্ঠীর ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করতে হবে এবং লস্কর-ই-তৈবার প্রধান নেতা হাফিজ সঈদসহ অন্যান্য বড় জঙ্গি নেতাদের (Terrorist) বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ান বিভাগের প্রধান অ্যালিস ওয়েলস অবশ্য লস্কর-ই-তৈবা/জামাত-উদ-দাওয়ার চার নেতাকে গ্রেফতার করার জন্য পাকিস্তানে স্বাগতও জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসের জন্য অর্থ বিনিয়োগের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই চার নেতাকে। এই চার জঙ্গির নাম জাফর ইকবাল, ইয়াহিয়া আজিজ, মহম্মদ আশরফ ও আব্দুল সালাম।

“কিছু মন্তব্য পাকিস্তানের শক্তি বাড়ায়”, ‘অস্ত্রপুজো'র সমালোচকদের বললেন রাজনাথ সিং

অ্যালিস ওয়েলস জানিয়েছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেমন বলেছেন, পাকিস্তানকে নিজেদের ভবিষ্যতের জন্যই নিজেদের দেশের মাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা এই সংবাদকে স্বাগত জানাচ্ছি যে, চারজন জঙ্গি ন‌েতাকে পাকিস্তান গ্রেফতার করেছে। লস্কর-ই-তৈবার হানায় আক্রান্তরা তাকিয়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তিদের বিচার প্রক্রিয়ার দিকে।''

জঙ্গি নেতাদের গ্রেফতার করা ও মুক্তি দেওয়ার ঘটনা পাকিস্তানের দীর্ঘ সময়ের অভ্যাস। আপাতত ‘ধূসর তালিকা'য় থাকা পাকিস্তানকে ‘কালো তালিকাভুক্ত' করা হবে কিনা সেই নিয়েই চিন্তাভাবনা চলছে।

গত বছরের জুন মাসে তাদের ‘ধূসর তা‌লিকা'র অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তাদের একটি তালিকা দেওয়া হয়। সেই তালিকার শর্ত পূরণ করতে না পারলে উত্তর কোরিয়া ও ইরানের মতো তাদেরও ‘কালো তালিকাভুক্ত' করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এক বছরে পাকিস্তানের পারফরম্যান্স। বিচার করে দেখা হচ্ছে তাদের ‘ধূসর তালিকা' থেকে ‘কালো তালিকা'য় নিয়ে যাওয়া হবে, নাকি অব্যাহতি দেওয়া হবে। গত মাসে অ্যালিস ওয়েলস বলেছিলেন, সঈদ ও মাসুদ আজহারকে গ্রেফতার না করলে ও সীমান্ত সন্ত্রাস সম্পর্কে পাকিস্তান সিরিয়াস না হলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী উত্তেজনা কমবে না।

গত আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। এরপর আবারও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে দেখা যায়। পাকিস্তান রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতকে এই ইস্যুতে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। ভারত জানিয়ে দিয়েছে এটা একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

.