PIA crash: দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্ততপক্ষে ৫৭ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে
নয়াদিল্লি: শুক্রবার পাকিস্তানের করাচির (Karachi) ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমান (Pakistan International Airlines) এ ৩২০, মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে ছিল বিমানবন্দর, যেখানে বিমানটির অবতরণর পথে ছিল, সেখানে একটি বাড়িতে বিমানের লেজের অংশ ধাক্কা খায়। একটি বিস্ফোরণ ঘটে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, বাতাসে কালো ধোঁয়া উড়তে থাকে। ওই এলাকায় থাকা একটি বাড়ির সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে হাড় হিম করা সেই দৃশ্য। লাহোর থেকে ৯৯ জন যাত্রী নিয়ে উড়ান নেয় পাক বিমান পিকে ৮৩০৩, শুক্রবার বিকেলে করাচির জিন্না আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল বিমানটির। ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়।
সিন্ধপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজরা পেচহোকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “আমরা এখনও বুঝতে পারছি না, ৫৭ জন যাত্রীই বিমানে ছিলেন কিনা, অথবা তাঁরা ওই এলাকার বাসিন্দা কিনা, কারণ বিমানটি ভেঙে পড়ার ফলে অনেকগুলি বাড়ি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”।
আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে গিয়েছে তিনজন যাত্রী।
পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রথমবার ধীরে ধীরে অবতরণের চেষ্টা করে বিমানটি, সেটি ব্যর্থ হলে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করা হয়। বিমানের ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটে শেষবারের গতিবিধি রেকর্ড হয়েছে, একজন পাইলটকে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে বলে শোনা গিয়েছে, তাঁদের দুটি ইঞ্জিনটিই বিকল হয়েছে গিয়েছে, তারপরেই বিপদসঙ্কেত “মেডে মেডে মেডে” বলে চিৎকার করতে থাকেন পাইলট।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রথমে বিমানটি একটি মোবাইলের টাওয়ারে ধাক্কা খায়, পরে মালির এর মডেল কলোনি এলাকায় জিন্না গার্ডেনের বাড়িগুলির ওপরে ভেঙে পড়ে। বেশ কয়েকটি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এর আগে পাক মিডিয়ায় সেই ছবি দেখানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাস অতিমারীর কারণে জারি করা লকডাউনে দীর্ঘসময় বন্ধ ছিল পাক বিমান পরিষেবা, এক সপ্তাহ আগে তা চালু হয়। তারপরেই এই দুর্ঘটনা।
২০১৬ এর ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানে বিমান দুর্ঘটনায়, সেবার বিমানে থাকা ৪৮ জনের মৃত্যু হয়, তারপর এটিই সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ।
(এজেন্সির তথ্য সংযোজিত হয়েছে)