এর আগে নির্বাচনে জিতেও ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান ইমরান।
হাইলাইটস
- অনেকেই মনে করছেন সেনা বাহিনীর দ্বারাই পরিচালিত হবেন ইমরান
- তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তের নেপথ্যে সেনা বাহিনীর প্রতিফলন আছে
- তবে তিনি মনে করেন তাঁর সরকারের মতো পাক সেনাও শান্তি চায়
নিউ দিল্লি: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেকেই মনে করছেন সেনা বাহিনীর দ্বারাই পরিচালিত হবেন তিনি। তাঁর প্রতিটি সিদ্ধান্তের নেপথ্যে সেনা বাহিনীর প্রতিফলন আছে বলে মনে করা হয়। আর দুদেশের মধ্যে ধর্মীয় করিডর নির্মাণের শিলান্যাস করে তিনি বললেন তাঁর সরকার থেকে শুরু করে বিরোধী দল এমনকী সেনা বাহিনী সকলেই ভারতের সঙ্গে ভদ্রচিত সম্পর্ক চায়। তাঁর কথায় আমি ভারতে গেলেই শুনি পাকিস্তানের সেনা নাকি শান্তি চায় না। কিন্তু আমি বলছি আমাদের দেশের সকলেই শান্তি চায় । তাঁর মনে হয় শুধু বোকারা পরমাণু শক্তি ধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ চায়। গত সত্তর বছর ধরে ভারত এবং পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে জ দোষারোপের খেলা খেলে আসছে। ভুল দুতরফেই আছে।
সার্ক সম্মেলনে থাকছে না ভারত, পাকিস্তানকে সন্ত্রাস বন্ধ করতে বললেন সুষমা
এর আগে নির্বাচনে জিতেও ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়ান ইমরান। কিন্ত ভারতের দাবি সন্ত্রাস দমনে কোনও ব্যবস্থাই করছে না ইসলামাবাদ। আর তাই বিদেশমন্ত্রী মনে করেন কার্তারপুর করিডর নির্মাণে সম্মত হওয়া আর পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা এক জিনিস নয়। এমনটাই জানালেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর স্পষ্ট কথা সন্ত্রাসের পথ থেকে সরে না এলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করবে না ভারত। পাশাপাশি জানিয়েদেন সার্ক সম্মেলনে থাকছে না ভারত। দুটি দেশের মধ্যে তৈরি এই ধর্মীয় করিডর থেকে আলো পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খুলবে না। তিনি বলেন, দু'দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত এই করিডর তৈরি করার কথা বলে আসছে। শেষমেশ বাস্তবায়িত হয়েছে ব্যাপারটা। এটা আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু তাঁর মানে এই নয় যে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে যাবে। আমরা সব সময় বলি আলোচনা আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। পাকিস্তান সন্ত্রাস বন্ধ করলেই ভারত আলোচনা করবে।