সোমবার এই কথা বলেন ইমরান খান। (ফাইল)
হাইলাইটস
- তাঁর সরকার আগত শিখ তীর্থযাত্রীদের ভিসা দেবে বলে জানান ইমরান খান
- তিনি আরও বলেন, শিখ তীর্থযাত্রীদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেবে পাকিস্তান
- প্রস্তাবিত কর্তারপুর করিডর দিয়ে আসবেন শিখ তীর্থযাত্রীরা
লাহোর: শিখ সম্প্রদায়ের কাছে কর্তাপুর হল ‘মদিনা' ও নানকানা সাহিব হল ‘মক্কা'। একথা জানিয়ে সোমবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) জানালেন, তাঁর সরকার ভারত ও অন্যান্য দেশ থেকে আগত শিখ তীর্থযাত্রীদের (Sikh pilgrims) ভিসা দিতে প্রস্তুত। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান (Pakistan) সরকার শিখ তীর্থযাত্রীদের সম্ভাব্য সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেবে পাকিস্তানে তাঁদের পবিত্র তীর্থস্থানে এলে। ‘দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল' সূত্রে এমনটা জানা গিয়েছে। লাহোরের গভর্নর হাউসে আন্তর্জাতিক শিখ সম্মেলনে ইমরান বলেন, ‘‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনাদের একাধিক ভিসা মঞ্জুর করা হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা বিমানবন্দরে আপনাদের ভিসা দিয়ে দেব।''
পাকিস্তান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিখ তীর্থযাত্রীদের সমস্ত ভিসা মঞ্জুর করার পদ্ধতি সম্পন্ন করে ফেলতে। ১২ নভেম্বর গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মতিথিতে যাতে নির্বিঘ্নে যোগ দিতে পারে তীর্থযাত্রীরা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভিসা মঞ্জুর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
"শুধুমাত্র জঙ্গিদের জন্যে তো আর নেট বন্ধ করা যায় না": S Jaishankar
‘সামা টিভি' সূত্রে জানা যাচ্ছে ইমরান খান জানিয়েছেন, এটা কোনও অনুগ্রহ নয়। এটা পাকিস্তানের দায়বদ্ধতা।
তিনি বলেন, ‘‘কর্তাপুর আপনাদের মদিনা এবং নানকানা সাহিব আপনাদের মক্কা। আমরা (মুসলিমরা) কল্পনা করতেও পারি না যে কেউ আমাদের মক্কা-মদিনা থেকে দূরে রাখবে। এটা নতুন ভিসার আমল। তাই শুরুতে খানিকটা সমস্যা হতে পারে, কিন্তু আমরা আপনাদের পুরোপুরি সাহায্য করব।''
“ছবি তুলুন, ভিডিও করছেন কেন?” মিড ডে মিলে নুন রুটি প্রসঙ্গে সাংবাদিককে আক্রমণ প্রশাসনের
এই সম্মেলনে যোগ দিতে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, কানাডা ও আরও বহু দেশ থেকে শিখ তীর্থযাত্রীরা এখানে এসেছিলেন।
প্রস্তাবিত কর্তারপুর করিডর দিয়ে প্রতিদিন ৫,০০০ শিখ তীর্থযাত্রীরা পাকিস্তানে প্রবেশ করবেন বলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কথা হয়েছে।
এই করিডর কর্তারপুরের দরবার সাহিবের সঙ্গে গুরুদাসপুর দেরা বাবা নানক শিরিনকে যুক্ত করবে। ১৫২২ সালে এই কর্তারপুর সাহি প্রতিষ্ঠা করেন গুরু নানক।
১৯৪৭-এর পর দুই দেশের মধ্যে একমাত্র ভিসা-মুক্ত অঞ্চল কর্তারপুর।
পাকিস্তান ভারত সীমান্ত থেকে দরবার সাহিব পর্যন্ত এই করিডরের অংশ প্রস্তুত করছে। বাকি অংশ নির্মাণ করবে ভারত।