কমিশন নানা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তানে কীভাবে সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়।
নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) ‘কমিশন অন দ্য স্টেটাস অফ উওমেন' বা সিএসডবলিউ বড় অভিযোগ আনল পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে। কমিশন প্রকাশিত ৪৭ পাতার রিপোর্টের দাবি, ইমরান খানের (Imran Khan) তহরিখ-ই-ইনসাফ সরকারের বৈষম্যমূলক আইন ‘‘চরমপন্থী মানসিকতার'' মানুষদের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে (Religious Minorities) আক্রমণের ক্ষমতা প্রদান করছে। ওই রিপোর্টের শিরোনাম ‘‘পাকিস্তান— ধর্মীয় স্বাধীনতা হামলার শিকার''। ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছে এই রিপোর্ট। রাষ্ট্রসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের ওই কমিশন তাদের দীর্ঘ রিপোর্ট জুড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানে ধর্মবিদ্বেষী আইনের রাজনীতিকরণের বিষয়ে। রিপোর্টের দাবি, কেবল ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অবদমিত করার জন্যই নয়, রাজনৈতিক ক্ষমতা দাখিলের জন্যও ওই আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
কমিশন এও জানিয়েছে, পাকিস্তানে হিন্দু ও খ্রিস্টানরা ‘‘বিশেষত দুর্বল''। বিশেষ করে মহিলারা।
ভারতে হামলা চালানোর সময় এফ-১৬-এর অপব্যবহার করায় পাকিস্তানকে ধমক আমেরিকার
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘প্রত্যেক বছর শয়ে শয়ে মেয়েকে অপহরণ করে ধর্মান্তিরত হয়ে মুসলিম পুরুষকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। আক্রান্তদের নিজেদের পরিবারে ফেরার কোনও আশাই থাকে না। কেননা অপহৃতা মেয়েদের ও তাদের পরিবারকে সারাক্ষণ ভয়ঙ্কর হুমকি দেওয়া হয়। এটা সম্ভব হয় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা, আইন ব্যবস্থার দৌর্বল্য এবং পুলিশ ও আইন ব্যবস্থায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের কারণেই।''
কমিশন নানা উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তানে কীভাবে সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয়।
সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সরবরাহে অভিযোগে পাক আদালতের কাঠগড়ায় হাফিজ সঈদ
২০১৯ সালের মে মাসে এক হিন্দু পশু চিকিৎসক রমেশকুমার মালহির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি ওষুধের প্যাকেটকে যে কাগজের মোড়কে রেখেছিলেন তাতে কোরানের আয়াত লেখা ছিল। প্রতিবাদকারীরা ওই চিকিৎসকের ক্লিনিক তো বটেই, পাশাপাশি এলাকার অন্য হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের দোকানেও আগুন লাগিয়ে দেয়।
কমিশেনর অভিযোগ, পাকিস্তানের আইনে রয়েছে কেউ ইসলামের অবমাননা করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ— এই নিয়মের প্রভূত অপব্যবহার হয় সেখানে। বহু ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা সাজানো হয়।
রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে মূলত পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধ প্রদেশের মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে দেওয়া হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেয়েগুলি নাবালিকাও।
কমিশন আরও জানিয়েছে মানবাধিকার প্রতিনিয়ত বিপন্ন হচ্ছে পাকিস্তানে।
সিএসডবলিউ পাকিস্তান সরকারকে এই ধরনের আচরণে কার্যকরী পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে।