தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Feb 18, 2020

এফএটিএফের ‘ধূসর তালিকা’তেই পাকিস্তান, নয়া অনুমোদন নয়: সূত্র

প্যারিসের আর্থিক টাস্ক ফোর্সের (FATF) নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় পাকিস্তানে কোনও পুঁজি বিনিয়োগ হবে না., অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে জানিয়েছে আইএমএফ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

এপ্রিলের মধ্যে ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তানকে বের না করা হলে, তাহলে তা কালো তালিকায় চলে যাবে।

সন্ত্রাসবিরোধী আর্থিক সংস্থা এফএটিএফের (FATF) কালো তালিকা এড়িয়ে ‘ধূসর তালিকা' (Grey List)তেই থাকল পাকিস্তান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালো তালিকাভুক্ত হওয়া এড়িয়েছে ইসলামাবাদ, সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা চালায় নয়াদিল্লি, এমনকী, ধূসর তালিকাও এড়ানোর চেষ্টা করে ইসলামাবাদ। একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা (International Monetary Fund) জানিয়েছে, প্যারিসের আর্থিক টাস্ক ফোর্সের (Financial Action Task Force) দ্বারা নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংস্কার ধাক্কা খাবে। এই পদক্ষেপ বিনিয়োগ এবং অন্যান্য পুঁজি আসার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে, এবং তারসঙ্গে প্রভাব পড়বে আইএমএফ এর আর্থিক জোগানেও।

এপ্রিলের মধ্যে ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তানকে বের না করা হলে, তাহলে তা কালো তালিকায় চলে যাবে।

সন্ত্রাস দমনে পদক্ষেপ না করায় ভুগতে হবে পাকিস্তানকে, হুঁশিয়ারি আমেরিকার

Advertisement

মঙ্গলবার প্যারিসে বৈঠক করেন এফএটিএফের ৩৯ জন সদস্য,পাকিস্তান ও ইরানের ঝুঁকির রেটিং নিয়ে সপ্তাহভর প্লেনারি তৈরি হয় সেখানে। ইসলামাবাদকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে, তুর্কি ও মালয়েশিয়া।

গত বছরের অক্টোবরে, জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা এবং জইশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্যদের আর্থিক জোগান দেওয়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ব্যর্থতার জন্য তাদের ‘ধূসর' তালিকায় রাখার সিদ্ধান্ত নেয় এফএটিএফ।

Advertisement

নয়াদিল্লি উল্লেখ করেছে যে, লস্কর-ই-তৈয়বা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সমর্থন করেছে ইসলামাবাদ, এবং অন্যদিকে, পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে এফএটিএফের কাছে।

সন্ত্রাসবিরোধী FATF বৈঠকে একঘরে পাকিস্তান,"গাঢ় ধূসর" তালিকায় যাওয়ার সম্ভাবনা

Advertisement

সোমবার পাকিস্তানের নাম না করে, এফএটিএফ জানায়, “বিশ্বজুড়ে সমর্থক থাকায় এবং অবৈধ কার্যকলাপ করার কারণে তহবিল বাড়ানোর সুবিধা পাচ্ছে” অনেক জঙ্গি সংগঠন।

ধূসর তালিকায় থেকে যাওয়ার অর্থ, কূটনৈতিক ব্যর্থতার পাশাপাশি শেষ মুহুর্তে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের চেষ্টাতেও ব্যর্থ পাকিস্তান।

Advertisement

গত সপ্তাহে, ২০০৮ এর মুম্বই হামলার মূলচক্রী এবং লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদকে ১১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের একটি আদালাত, সন্ত্রাসবাদে অর্থের জোগান দেওয়ার অপরাধে তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

Advertisement