ভারতের দাবি, পাকিস্তান কুলভূষণের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছে গুপ্তচরবৃত্তি ও জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার।
নয়াদিল্লি: পাকিস্তান (Pakistan) তাদের সেনা আইনে সংশোধন এনে কুলভূষণ যাদবকে (Kulbhushan Jadhav) নাগরিক আদালতে আবেদন করার সুযোগ দেবে। বুধবার একথা জানানো হয়েছে। প্রাক্তন আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে পাকিস্তানের আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বর্তমান আইন অনুযায়ী তাঁর আবেদন করার সুযোগও নেই। ৪৯ বছরের কুলভূষণ যাদবকে ২০১৭ সালে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের আদালত। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত জুলাই মাসে ভারতকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেয় এবং কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের রায়কে পুনর্বিবেচনা করার কথা বলে। পাক সংবাদমাধ্যম সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক বিবৃতিতে জানায়, ‘‘পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সঙ্গে সহযোগিতায় সেনা আইনে পরিবর্তন করে কুলভূষণ যাদবকে নাগরিক আদালত আবেদন করার অধিকার দেবে। এই মামলাটির বিচার সেনা আদালতে হয়েছে। এবং সেনা আইন অনুযায়ী এই ধরনের ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে আবেদনের সুযোগ দেয় না। কিন্তু এতে বিশেষ সংশোধন করা হবে কুলভূষণ যাদবের জন্য।''
গত সেপ্টেম্বরে কুলভূষণ যাদবকে সুযোগ দেওয়া হয় ভারতীয় আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার।
পাকিস্তানের দাবি, বালুচিস্তান থেকে কুলভূষণকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৬ সালের ৩ মার্চ। এবং তিনি একটি আক্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন। ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কুলভূষণকে অপহরণ করে ইরান থেকে। সেখানে তিনি ব্যবসা করতেন। এরপর পাকিস্তান কুলভূষণের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনে গুপ্তচরবৃত্তি ও জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার।
কুলভূষণের সাজা ঘোষণার এক মাস পর ভারত বিশ্ব আদালতে আপিল করে।
শেষ পর্যন্ত ১৫তে ১ হিসেবে ভারতের পক্ষে রায় দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের আদালত। জানিয়ে দেয়, আপাতত কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখা হচ্ছে। এবং এই রায়কে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
বিশ্ব আদালত সম্মত হয় ভারতের অভিযোগে যে, পাকিস্তান কুলভূষণ যাদবকে তাঁর অধিকার সম্পর্কেও অবগত করেনি।