প্রতিবেশী বন্ধুরাই যখন শত্রু হয়ে যায় তখন আরও বেশি করে সজাগ থাকতে হয়। তাই ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের কার্যকলাপের দিকে সবসময়ই অতিরিক্ত নজর দিয়ে রাখে সেনা। আর সেই নজরদারির জন্যেই হয়তো শনিবার সকালে মারাত্মক সব অস্ত্র বয়ে নিয়ে চলা একটি ড্রোনকে (Pakistani Drone) গুলি করে নামাল ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (Border Security Forces)। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কাঠুয়ার কাছে অস্ত্র বহনকারী ওই ড্রোনটিকে আকাশে দেখার পরেই তাকে গুলি করে নিচে নামায় বিএসএফ। ওই পাকিস্তানি ড্রোনের ভেতর থেকে একটি এম-৪ আমেরিকায় তৈরি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড বুলেট এবং সাতটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশের অনুমান, জম্মু ও কাশ্মীরে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গিদের সাহায্যের জন্যেই পাকিস্তান থেকে ড্রোন মারফৎ ওই অস্ত্র জোগান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা ব্যর্থ করে দেয় বিএসএফ।
"আমাদের সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করতে চেষ্টার কসুর করবে না": প্রধানমন্ত্রী
এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, "আলি ভাই নামে এক জঙ্গির জন্যেই ওই অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কেননা ওই ড্রোনের প্লেলোডে তারই নাম লেখা ছিল"।
সর্বদল বৈঠকের ঠিক একদিন পরেই ফের মোদিকে ২টি প্রশ্ন করলেন রাহুল গান্ধি
"ড্রোনটি মোটামুটি ৮ ফুট চওড়া এবং অনুমান করা হচ্ছে যে কাঠুয়া (Kathua) সেক্টরে বিএসএফের সেনা ছাউনির উল্টোদিকেই পাকিস্তানি ভূখণ্ড থেকে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল", এই কথাও বলেন ওই পুলিশ কর্তা।
শনিবার ভোর ৫.১০ মিনিট নাগাদ বিএসএফের চোখে পড়ে ভারতীয় আকাশে ঘোরাফেরা করা ওই ড্রোনটি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় আড়াইশো মিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়া ড্রোনটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। প্রায় ৯ রাউন্ড গুলি চালানোর পর মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে সেটি।
পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে জম্মুর কাছে জইশ-ই-মহম্মদের যে জঙ্গিদের খতম করা হয়েছিল তাদের ডেরা থেকেও এই একই ধরণের অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
একজন পুলিশ কর্তা বলেন, " নির্লজ্জভাবে এই ধরণের কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যায় পাকিস্তানি এজেন্সিগুলো। কাশ্মীরের শান্তি ও শৃঙ্খলা ব্যাহত করার লক্ষ্যেই জইশ জঙ্গিদের মদত জোগাচ্ছে তারা"।
তিনি আরও বলেন, "পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অন্যান্য এলাকা, বিশেষত কুপওয়ারা, রাজৌরী ও জম্মু সেক্টরে এর আগেও অস্ত্র পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে এবং তা ব্যর্থও হয়েছে।"