তিন দিনের সফরে আমেরিকায় এসেছেন ইমরান খান।
হাইলাইটস
- তিন দিনে সফরে আমেরিকা এসেছেন ইমরান খান
- তিনি জানালেন তাঁদের দেশে ৪০টি জঙ্গি সংগঠন রয়েছে
- শান্তি প্রক্রিয়ায় আমেরিকার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চলার কথা বলেন তিনি
ওয়াশিংটন: পাকিস্তান (Pakistan) সরকার গত ১৫ বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে (US) সত্যি কথা বলেনি, একথা জানিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, তাঁদের দেশে ৪০টি জঙ্গি সংগঠন রয়েছে। ইমরান বলেন, ‘‘আমরা আমেরিকার সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াইয়ে রয়েছি। পাকিস্তানের কোনও ভূমিকাই ছিল না ৯/১১-তে। আল কায়দা আফগানিস্তানে ছিল। কোনও তালিবান জঙ্গি পাকিস্তানে ছিল না। কিন্তু তাও আমরা আমেরিকার লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, যখন ভুল হয়ে যায়, এক্ষেত্রে আমি আমার সরকারকে দায়ী করব, আমরা আমেরিকাকে সেই সত্যিটা বলিনি এই বিষয়ে।'' তিনি আরও বলেন, ‘‘৪০টি জঙ্গি গোষ্ঠী পাকিস্তানে সক্রিয়। তাই পাকিস্তান একটা এমন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল, যখন আমার মতো মানুষরা উদ্বিগ্ন হতাম এর থেকে বাঁচব কী করে সেকথা ভেবে। সুতরাং যখন আমেরিকা আশা করছিল আমরা আরও সাহায্য করবে ওদের যুদ্ধে, ঘটনা হল পাকিস্তান তখন নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে লড়ছিল।''
কংগ্রেস উওম্যান শীলা জ্যাকসন লি আয়োজিত ক্যাপিটল হিল-এ একথা জানান ইমরান। শীলা কংগ্রেসনাল পাকিস্তান ককাসের চেয়ারপার্সন। তিনি ভারতের কংগ্রেসসনাল ককাস ও ইন্ডিয়ান-আমেরিকান ককাসেরও চেয়ারপার্সন।
কেন কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে ট্রাম্পের মধ্যস্থতা চান, জানিয়ে দিলেন ইমরান
ইমরান জানান, পাকিস্তানের সরকারের নিজেদের উপরে নিয়ন্ত্রণ ছিল না। তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ও গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন নেতাদের সঙ্গে দেখা করাটা তাঁর জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ছিল।
“এই ধরণের কোনও অনুরোধ করা হয়নি”: ট্রাম্প নিয়ে সংসদে জানাল কেন্দ্র
ইমরানের দাবি, তিনি আমেরিকার কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছেন, আগামী দিনে কীভাবে এগোতে চায় পাকিস্তান। তিনি মনে করেন, পারস্পরিক বিশ্বাসের উপরেই সম্পর্কের গভীরতা নির্ভর করে। পাকিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপ তিনি আমেরিকাকে জানাবেন বলে জানান ইমরান।
তালিবানদের প্রসঙ্গেও কথা বলেন ইমরান। কাজটা খুব সহজ হবে না জানিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমরা ভালই এগিয়েছি। আশা করবেন না কাজটা খুব সহজ হবে। কেননা আপগানিস্তানের পরিস্থিতি খুবই জটিল। আমরা আমাদের সেরাটা দিতে চেষ্টা করব। পুরো দেশ আমার সঙ্গে আছে। পাকিস্তানি আর্মি, নিরাপত্তা বাহিনী সবাই আমার পিছনে রয়েছে। আমাদের সবার একটাই লক্ষ্য এবং সেটা আমেরিকার লক্ষ্যের সমান। আর সেটা হল আফগানিস্তানের সমস্যার যত দ্রুত সম্ভব শান্তিপূর্ণ সমাধান করা।''
তিন দিনে সফর শেষে পাকিস্তান ফেরার আগে শেষ জনসংযোগের সময় ইমরান জানান, তিনি আশা করছেন পাক-মার্কিন সম্পর্ক এখন একটা ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছেছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)