ফ্রান্স, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ধারাবাহিকভাবে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- রাষ্ট্রসংঘে ফের মুখ পুড়ল পাকিস্তান এবং চিনের
- নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্য়ুতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের দাবি তোলে পাকিস্তান
- সেই দাবি খারিজ হয়ে যায় রাষ্ট্রসংঘের অন্য সদস্য দেশগুলির আপত্তিতে
নয়া দিল্লি: ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) ইস্যুতে নাক গলানোর লাগাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে পাকিস্তান। যেভাবে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করা হয়েছে সেই নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করা হোক রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC), এই দাবি তুলতেই মুখ পুড়ল প্রতিবেশী দেশটির। একটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছ, চিনের সমর্থনকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তান (Pakistan) ফের কাশ্মীর ইস্যুটি তুলতেই শীর্ষ বিশ্ব সংস্থাটির (UN Security Council) সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য জানান যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জায়গা এটা নয়, ফলে খারিজ হয়ে যায় পাক দাবি। নয়া দিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে হলে আগে নিজেদের দেশে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার মতো বিষয়গুলির দিকে মনোযোগ দেওয়ার বিষয়ে ইসলামাবাদকে অনুরোধ জানায় ভারত। পাশাপাশি যেভাবে ফের রাষ্ট্রসংঘে একই ভাবে কাশ্মীর ইস্যুটি তুলেছে সেই পদক্ষেপেরও নিন্দা জানিয়েছে নয়া দিল্লি।
৯/১১ হামলার পর মার্কিনি প্রতিশোধের মতোই উচিত শিক্ষা দিতে হবে : Bipin Rawat
"রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন এনডিটিভিকে বলেছেন," পাকিস্তান যেভাবে ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে তার বিরুদ্ধে ভারত সহ অন্যান্য দেশ থেকে তাদের উপর চাপ বাড়ছে। সেই বিষয়টি থেকে নজর ঘোরাতেই এই পথ অবলম্বন করেছে পাকিস্তান"।
এর আগেও বন্ধু চিনের সমর্থনকে মূলধন করে কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের দাবি তোলে ইমরান খানের দেশ।
"আমরা আবারও রাষ্ট্রসংঘের একটি সদস্য দেশের আমাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার প্রচেষ্টা দেখেছি, কিন্তু অন্য সকলের স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের ওই প্রচেষ্টা", সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন আকবরউদ্দিন।
এর আগে গত সপ্তাহে পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে কড়া বার্তা আকবরউদ্দিন বলেছিলেন, 'অপপ্রচার বন্ধ করুক পাকিস্তান। যে ক্ষতি, যে অস্বস্তি তারা তৈরি করেছে তা ঠিক করার চেষ্টা করুক। প্রতিনিয়ত জঙ্গি নেটওয়ার্কগুলি যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না নিরাপত্তা পরিষদ। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে মদত দিচ্ছে যে রাষ্ট্রগুলি তারও মোকাবিলা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের এই অক্ষমতার জন্যই পরিচয়হীনতায় ভুগছে তারা। পাশাপাশি তাদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।'
সর্ষের মধ্যেই ভূত? Parliament Attack-র নেপথ্যেও গ্রেফতার জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ কর্মী?
এর আগেও পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেদের বন্ধুত্বের প্রমাণ দিতেই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের দাবি তোলে চিন। গত বছরের ৫ অগাস্ট সংসদে বিল পাস করে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয় মোদি সরকার। এরপরেই এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয় পাকিস্তান। তারপরেই প্রথমবার নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে এই নিয়ে আলোচনার দাবি করে চিন। কিন্তু সেবারও চিন ছাড়া আর কাউকে পাকিস্তান পাশে পায়নি। কারণ সদস্য দেশগুলি একসঙ্গে ভারতের পক্ষেই দাঁড়িয়েছিল এবং স্পষ্ট জানিয়েছিল, সংবিধানের কোনও ধারা বিলোপ করার মতো সিদ্ধান্ত অবশ্যই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।