Read in English
This Article is From Aug 03, 2018

পাকিস্তানের একমাত্র শিখ পুলিশকে জোর করে উৎখাতের অভিযোগ

ট্রাফিক পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে কাজে কামাই করছিলেন 35 বছর বয়সী এই পুলিশ গোলাম সিং

Advertisement
ওয়ার্ল্ড

সিং-এর অভিযোগ জোর করে বাড়ি থেকে উৎখাত করা হচ্ছে তাঁকে

লাহোর :

তিনমাস ধরে চাকরিতে না আসার কারণ দেখিয়ে লাহোরের কাছে একটি গ্রামে বাড়ি  থেকে টেনে বের করে লাঞ্চনা এবং হেনস্থার শিকার হলেন পাকিস্তানের প্রথম শিখ পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে কাজে কামাই করছিলেন 35 বছর বয়সী এই পুলিশ গোলাম সিং। “এই কারণেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে”- মুখপাত্র আলী নওয়াজ পিটিআইকে বলেন।

ট্রাফিক পুলিশ সুপার আসিফ সাদিক, যিনি গোলাম সিংকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন, জানান, এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছিল কিন্তু গোলাম কমটির কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারেননি।

গত মাসে গোলাম সিং অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি লাহোর নিকটবর্তী একটি গ্রামে তাঁর ছেলে ও স্ত্রীসহ তাঁর বাড়ি থেকে শিখ গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির (পিএসজিপি) একটি অংশ তাঁকে বলপূর্বক উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল।

Advertisement

পিটিআইযকে গোলাম জানান,এই কমিটির অনুরোধেই ট্রাফিক পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

আমি অভিযোগ করেছিলাম যে আমাকে এবং আমার পরিবারকে লাহোরের ডেরা চাহালের কাছে গুরুদ্বারা জানেস্থান বেবে নানকের কাছে আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে চেষ্টা করে এই বোর্ড। এই অভিযোগের ফলে বোর্ড ট্র্যাফিক পুলিশে যোগাযোগ করে এবং এসপি সাদিককে চাপ দেয় যাতে আমি এই অভিযোগ তুলে নিই।“-বলেন গোলাম।,

Advertisement

তিনি বলেন,  একটি দুর্ঘটনা ঘটার ফলে তিনি কাজে যেতে পারেননি এবং ছুটির আবেদনের সাথে মেডিকেল সার্টিফিকেটও দিয়েছিলেন তিনি। সিং আরও জানান যে, তিনি তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের ইটিপিবি কর্তৃক অবৈধ ভাবে উচ্ছেদের যে মামলা আদালতে তিনি করেছেন তা তুলে নিতে একেবারেই রাজি নন তিনি। "এমনকি সুপ্রিম কোর্ট আমাদের অবৈধ বহিষ্কারের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কিন্তু বোর্ড সে সম্পর্কে চিন্তিতই নয়।"- তিনি বলেন।

লাহোরের সেশন কোর্টে ইটিপিবি-কে যা পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের পবিত্র স্থানের দেখভাল করে, আদালত নোটিশ দেয়, গোলাম ও তাঁর পরিবারকে উচ্ছেদ করার জন্যও কারণ দেখাতে বলে। মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ আগস্ট 7।

Advertisement

মামলাটি সেশন কোর্টে মুলতুবি থাকা সত্ত্বেও, ইটিপিবি ও পুলিশ কর্মকর্তারা 10 জুলাই গোলামের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং তার পরিবারকে জোরপূর্বক আটকে রেখে ঘোষণা করে যে, বাড়টি বোর্ডের সম্পত্তি। বোর্ড কর্মকর্তা ও ইন্সপেক্টর তাঁকে নির্যাতন করে তার হাত ভেঙ্গে দেন বলেও অভিযোগ করেন গোলাম।

পাঞ্জাব ট্রাফিক পুলিশের একমাত্র শিখ ওয়ার্ডেন গোলাম ২০০৬ সালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

Advertisement

ইটিপিবি এর মুখপাত্র আমির হাশমী সিং যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বোর্ড কর্মকর্তারা গোলামকে কমপক্ষে তিনটি নোটিশ পাঠানোর পরতার বাসভবনটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এই স্থানটি গুরুদুয়ারার বেবে নানকির একটি লঙ্গারখানা হল এবং সিং অবৈধভাবে এটি দখল করে রেখেছিল"



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
Advertisement