Read in English
This Article is From Apr 21, 2020

মুম্বই হামলার মূল চক্রী সহ ১,৮০০ জঙ্গির নাম তালিকা থেকে বাদ দিল পাকিস্তান

২০১৮ সালে এই তালিকায় ৭,৬০০টি নাম ছিল। গত ১৮ মাসে সেই তালিকাটিকে ছোট করে ৩,৮০০টি নামে নিয়ে আসা হয়েছে।

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Posted by (with inputs from PTI)

গত ১৮ মাসে তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৩,৮০০ নাম। (ফাইল)

নিউ ইয়র্ক:

নিঃশব্দে মুম্বই হামলার (Mumbai attack) মূল চক্রী ও লস্কর-ই-তৈবা কমান্ডার জাকি-উর-রহমান লকভি (Zaki-ur-Rehman Lakhvi) সহ ১,৮০০ জন জঙ্গিতে নিজেদের ওয়াচ লিস্ট থেকে বাদ দিল পাকিস্তান (Pakistan)। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর নতুন পর্যবেক্ষণের আগেই এমন পদক্ষেপ করল তারা। মার্কিন যে সংস্থা স্বয়ংক্রিয় ভাবে এই তালিকার দিকে নজর রাখে তারা এমনই দাবি করেছে। পাকিস্তানের জাতীয় জঙ্গি বিরোধী সংস্থা এই তালিকা তৈরি রাখে। লক্ষ্য ছিল, এর সাহায্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠাগুলিকে সাবধান করা যাতে তারা কোনও সন্দেহজনক জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন না করে।

২০১৮ সালে এই তালিকায় ৭,৬০০টি নাম ছিল। গত ১৮ মাসে সেই তালিকাটিকে ছোট করে ৩,৮০০টি নামে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই মার্কিন সংস্থার দাবি, মার্চের গোড়ায় বাদ দেওয়া হয় ১,৮০০ নাম।

এফএটিফ-এর সঙ্গে যৌথভাবে একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করতে চায় পাকিস্তান। মনে করা হচ্ছে, এফএটিএফ-এর পরিকল্পনা মেনেই এমন পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান।

Advertisement

এফএটিএফ-এর মতে পাকিস্তান জঙ্গিদের আর্থিক সরবরাহ বন্ধ করার ক্ষেত্রে পাকিস্তান সেভাবে উদ্যোগী হয়নি। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালে দেখা গিয়েছে এফএটিএফ-এর পরামর্শ দেওয়া ২৭টি বিষয়ের মধ্যে মাত্র ১৪টি পালন করছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের পরিস্থিতি আবার ২০২০ সালের জুন মাসে খতিয়ে দেখবে এফএটিএফ।

Advertisement

বর্তমানে এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। কালো তালিকায় যাতে যেতে না হয় সেজন্য সচেষ্ট হয়েছে পাকিস্তান।

ওয়াচ লিস্ট থেকে বাদ পড়া অন্যতম নাম হল জাকি-উর-রহমান লকভি। তাকে বাদ দেওয়ার পিছনে জাকা বা জাকি এই দুই নামের মধ্যে সংশয়ই কাজ করেছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

ওই সংস্থার দাবি, তারা লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিদের নামের তালিকা খতিয়ে দেখতে গিয়েও দেখতে পেয়েছে সেই তালিকাতেই নেই লকভির নাম।

সংস্থার প্রাক্তন নীতি উপদেষ্টা পিটার পিয়াটেটস্কির মতে, এভাবে কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই ৪,০০০ নাম বাদ দেওয়ার ফলে সেই পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement