বাচ্চা হাতিটিকে কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে মায়ের সঙ্গে ফের মিলিয়ে দেন বনরক্ষী
দলছুট হাতির বাচ্চাকে কাঁধে করে তুলে নিয়ে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলেন তামিলনাড়ুর একজন বনরক্ষী। বাচ্চা হাতিটিকে একটি গর্ত থেকে বের করে কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে গিয়ে মায়ের সঙ্গে ফের মিলিয়ে দেন বনরক্ষী পলানিচামি শরথকুমার (Palanichamy Sarathkumar)। তবে ঘটনাটি ২ বছর আগেকার। নতুন করে এই ঘটনা শোর তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, সৌজন্যে, ভারতীয় বন বিভাগের আধিকারিক দীপিকা বাজপেয়ির একটি টুইট। সোমবার, দীপিকা বাজপেয়ি প্রায় ১০০ কেজি ওজনের বাচ্চা হাতিকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া পলানিচামি শরথকুমারের একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিটি দুই বছর আগেকার। বন রক্ষীদের কাজ, বনরক্ষীদের জীবনের একটি ছোট্ট ঘটনা সামনে এনে দিয়েছে এই ছবিটি।
BBC অনুসারে, শরথকুমার তামিলনাড়ুর মেট্টুপালিয়ামের একটি বন দলে ছিলেন। দিনটা ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭। তার কাছে খবর আসে একটি স্ত্রী হাতি রাস্তা আটকাচ্ছে। তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা আতশবাজির সাহায্যে হাতিটিকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান এবং আরও হাতি আশেপাশে রয়েছে কিনা তা সন্ধানের জন্য জঙ্গলে খোঁজ চালাতে থাকেন, তখনই ওই হাতির বাচ্চাটিকে একটি গর্তে আটকে থাকতে দেখেন।
শরথকুমার বলেন, “আমরা এই বাচ্চাকে একটি ছোট গর্তের মধ্যে আটকে থাকতে দেখি। ভীষণই ক্লান্ত এবং বিভ্রান্ত ছিল বাচ্চাটি। তাই আমরা ওর সামনে থাকা একটি বড় পাথর সরিয়ে দিই এবং ওকে বাইরে নিয়ে আসি। তবে বাচ্চা হাতি এতটাই দুর্বল ছিল যে হাঁটতেই পারছিল না এবং ওর মাকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।”
শরথকুমার বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমরা চার জন হস্তিশাবকটিকে বহন করেছিলাম। আমরা বাচ্চাটিকে ওর মায়ের কাছে আবার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ওকে রাস্তার অপর প্রান্তে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তবে ওর মা কাছেই থাকায় আক্রমণ করার আশঙ্কা ছিল।”
সুতরাং, বনরক্ষী সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি যদি একাই বাচ্চা হাতিটিকে নিয়ে গিয়ে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় তবে বোধহয় তা নিরাপদ হবে। কাঁধে করে প্রায় ৫০ মিটার নিয়ে যাওয়ার পরে শরথকুমার একটি জলা জায়গায় প্রায় ১০০ কেজি ওজনের ওই হস্তিশাবককে নামিয়ে রাখেন। হাতির মায়ের কাছে ফিরে যায় শিশুটি।
টুইটারে পোস্ট হওয়ার পর থেকেই এই গল্প শুনে পলানিচামি শরথকুমারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মানুষ।
Click for more
trending news