যাত্রী বোঝাই ওই জাহাজটি প্রথমে কাছে দাঁড়ানো একটি বোটকে ধাক্কা মারে রবিবারের সকালে
৬৫,০০০ টনের এক জাহাজ (Cruise ship) আচমকাই হর্ন বাজাতে বাজাতে এগিয়ে এল। তারপর বেসামাল হয়ে এগিয়ে চলল জনবহুল বন্দরের দিকে। তাই দেখে উপস্থিত লোকেরা ছুটতে শুরু করল প্রাণে বাঁচতে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সেই মুহূর্তটি। ২১০০ যাত্রীবোঝাই এমএসসি অপেরা নামের ওই জাহাজ কাছে দাঁড়ানো একটি বোটকে ধাক্কা মারে রবিবারের সকালে। তারপর জিউডেক্কা ক্যানালের সান বাসিলো টার্মিনালের ডকে আছড়ে পড়ল। তারপর ভারী কিছু আছড়ে পড়ার বিকট শব্দ শোনা গিয়েছে। তার সঙ্গেই কাচ ভেঙে যাওয়ার ঝনঝন শব্দ। তার সঙ্গে আশপাশের মানুষের আর্ত চিৎকার ও ডককে ধাক্কা না দিয়ে জাহাজটিকে সরে যেতে বলা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সংবাদ সংস্থা এফপিকে জানিয়েছেন, চারজন যাত্রীর চোট লেগেছে। তবে তা গুরুতর নয়।
এমএসসি ক্রুজ কর্তৃপক্ষ একটি বিবৃতিতে ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছে, জাহাজটি একটি কারিগরি সমস্যায় পড়েছিল। তাই ক্রমাগত বন্দরের দিকেই এগিয়ে চলেছিল। তবে ঠিক কী কারণে ওই ধাক্কা লাগল, তার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। ওই বিবৃতিতে বলে হয়েছে— ‘‘ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই কারণে সংস্থা স্থানীয় উপকূলবর্তী কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্যদের সঙ্গেও আলোচনা চালাচ্ছে।''
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে— ‘‘পরিকল্পনামাফিক জাহাজটি ইতিমধ্যে মেরিট্টিমা টার্মিনালে নোঙর করার সম্মতি পেয়েছে। সেটিকে সেখানেই নোঙর করা হয়েছে। যাত্রীদেরও ওঠানামা শুরু হয়েছে।''
এএফপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বোটের সঙ্গে বিপুল ধাক্কায় যখন সেটি বন্দরের লোকদের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল, তখন উপস্থিত জনতা চিৎকার করে পালাতে শুরু করেছিল।
এক ব্যক্তি এএফপিকে জানাচ্ছেন, তিনি নিশ্চিত ছিলেন না কী করবেন। কিন্তু তারপরই তিনি দ্রুত সরে আসেন ও তীরের দিকে লাফ দিয়ে সরে যান।
২০১১ সালেও এমএসসি অপেরা টেকনিক্যাল সমস্যায় পড়েছিল। সেবার বাল্টিক সাগরে জাহাজটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রায় একশোরও বেশি যাত্রীকে আলো ও কর্মক্ষমতাসম্পন্ন শৌচাগার ছাড়া থাকতে হয়েছিল বলে সেই সময় বিবিসি নিউজ তাদের প্রতিবেদন জানিয়েছিল। তারপর যাত্রীরা বাড়ি ফিরেছিল।