দিল্লির তালকোটরায় পরীক্ষা পে চর্চা-২০২০ অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি: তালকাটোরা স্টেডিয়ামে পরীক্ষা পে চর্চা, ২০২০-তে পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে একাধিক প্রসঙ্গ টানলেন প্রধানমন্ত্রী (PM)। 'চন্দ্রযান'-এর ব্যর্থতা থেকে রাহুল দ্রাবিড়-ভিভিএস লক্ষ্মণের (Dravid-Laxman) ইডেন টেস্টের পার্টনারশিপ-- তাঁর এদিনের কথায় এসব প্রসঙ্গ এসেছে। তিনি (Narendra Modi) বলেন, "লক্ষ্য পূরণ আর লক্ষ্য পূরণের ব্যর্থতা, দুটোই খুব পরিপূরক। আমরা প্রত্যেকে এই দুটো পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাই। এই প্রসঙ্গে আমি 'চন্দ্রযান' প্রকল্পের কথা ভুলতে পারব না। ইসরোর কর্মঠ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সময় কাটানো আমায় অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।" এদিনের অনুষ্ঠানে রাজস্থানের এক পড়ুয়াকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশ্ন করেছিল, "বোর্ড পরীক্ষার আগে আমাদের বেশ মেজাজ খারাপ। কী করতে পারি?" সেই প্রশ্নের জবাবে এদিন প্রধানমন্ত্রী 'চন্দ্রযান'-এর প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তিনি সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমাকে ওখানে যেতে বারন করা হয়েছিল। এই প্রকল্প কতটা সফল হবে নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু আমার ওখানে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল।"
সেপ্টেম্বর ৭ তারিখ ইসরোর মিশন কন্ট্রোল রুমে প্রধানমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছিল। সেদিন চন্দ্রযান-২ এর সাথে বিক্রম ল্যান্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। তারপরে কান্নায় ভেঙে পড়া ইসরো প্রধানকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সূত্র ধরে তিনি বলেছেন, ব্যর্থতা মানেই সব শেষ না। সেটা ক্ষণিকের হতাশা মাত্র। যা ফের নতুন করে শুরু করতে উৎসাহ দেয়।
পরীক্ষা পে চর্চা'-তে পড়ুয়াদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
তালকাটোরা স্টেডিয়ামে পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা দিতে প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালের ভারত- অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচের প্রসঙ্গ এনেছেন। একটার পর একটা হারে গোটা দেশের মন খারাপ। তখন কীভাবে লক্ষ্মণ আর দ্রাবিড়ের পারফরম্যান্স দলকে ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করেছিল, সেই প্রসঙ্গ টানেন তিনি। "সেই ইনিংস আমরা কেউ ভুলতে পারব না", এদিনের অনুষ্ঠানে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি, থুতনিতে চোট নিয়ে অনিল কুম্বলের বোলিং প্রসঙ্গেও টেনে এদিন পড়ুয়াদের উৎসাহ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের মন খুলে প্রশ্ন করার আবেদন করেছিলেন তিনি। কোনরকম কাট ছাড়া সব প্রশ্ন প্রকাশ্যে আনা হবে এমন কথাই বলা হয়েছিল।
তিনি এদিন আরও বলেছেন, ভাল রেজাল্ট মানেই সব না। "পরীক্ষা দিয়ে একজনের প্রতিভা বিচারের মানসিকতা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে।" সোমবার এমন সুরও শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর গলায়।