ব্যাপক বিক্রি বাড়ল পার্লে-জি'র। নেটিজেনরা বললেন; উল্লাস!
নয়াদিল্লি: বাঙালির চায়ের সঙ্গে টা দিয়ে দিন শুরু হয়। আর সেই টা মানে অবশ্যই বিস্কুট। সেই বিস্কুট যদি হয় পার্লে জি (Parle G biscuit); তাহলে শৈশবকে একবার ফিরে দেখা যায়। কারণ স্কুল জীবনে পার্লে জি বিস্কুট কিংবা ব্রিটানিয়া মারি গোল্ড অনেকের টিফিন বক্সে জায়গা পেয়েছে। এবার হলুদ রাঙতায় মোড়া বঙ্গ জীবনের অঙ্গ সেই পার্লে জি বিস্কুটের রেকর্ড বিক্রির জন্য নেট দুনিয়ায় চর্চায়। লকডাউন আর সংক্রমণ (Amid Covid-19 and Lockdown) আবহে দেশবাসীর খিদে মিটিয়েছে পার্লে জি। আর আসমুদ্রহিমাচলের 'ভুখ' মিটিয়ে এখন শেয়ার বাজারে ট্রেন্ডিং (Record sales) এই বিস্কুট। জানা গিয়েছে; এমনিতেই সঙ্কটের সময় মানুষের পাশে থাকতে প্রতি সপ্তাহে প্রায় দু'লক্ষ প্যাকেট উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছিল পার্লে জি। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ক্রমশ জটিল হয়েছে সংক্রমণ পরিস্থিতি। দলে দলে বাড়ি ফিরতে পথে নেমেছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর তাঁদের মুখে খাবার তুলে দিতে পার্লে জি বিস্কুট ছিল সবচেয়ে উপাদেয় ও সাশ্রয়ী খাদ্য। এমনটাই জানিয়েছে সমাজসেবী সংগঠনগুলো।
তাই গত তিন মাসের বিক্রির নিরিখে শেয়ার বাজারে প্রায় চার-পাঁচ শতাংশ মুনাফা বাড়িয়েছে এই বিস্কুট উৎপাদনকারী সংস্থা। আর্থিক মন্দার ভার সইতে না পেরে অনেক এফএমসিজি পণ্যের শেয়ার সূচক নিম্নমুখী। সেখানে পার্লে জি দৌড়ে অনেক এগিয়ে। হলুদ রাঙতায় মোড়া ছোট খুদের (পার্লে গার্ল) এই উন্নতিতে বেশ উচ্ছ্বসিত রণদীপ হুডা।
তিনি নিজের স্ট্রাগলের সময়ের প্রসঙ্গ তুলে টুইটে লেখেন; "আমার গোটা কেরিয়ারে ফুয়েলের মতো কাজ করেছে পার্লে জি। সেই থিয়েটার করার সময় থেকে। কতটা কম প্লাস্টিক ব্যবহার করে একটা পণ্য প্যাকেজিং করা যায়! সেটা পার্লে জি দেখিয়েছে। এবার সবাইকে পিছনে ফেলে বিক্রিতেও এগিয়ে গেলো পার্লে জি।"
দেখুন সেই টুইট:
পরিবেশবিদ আফরোজ শাহের পরামর্শ; "প্যাকেজিংয়ে আরও একটু পরিবেশবান্ধব দিকে নজর দিক সংস্থা।" ব্র্যান্ডিং; বিপণন; প্রচার সর্বস্বতার ভিড়ে ক্রমশ হারাচ্ছিল পার্লে জি'র জৌলুস। কিন্তু প্রায় তিন মাস ধরে চলা লকডাউন ফের দৌড়ে ফেরালো ভারতের নিজের বিস্কুটকে। এদিকে গ্রাহক ও নেটিজেন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবিষয়ে টুইটও করেছে পার্লে জি। দেখুন সেই টুইটগুলো: