এই বিক্ষুব্ধদের নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও ঘুরপথে বার্তা দিয়ে রেখেছে বিজেপি। দলের নেতারা
নিউ দিল্লি: আস্থা ভোটের আগে দলেরই কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে চিন্তায় বিজেপি। বিরোধীদের আনা আস্থা ভোট জেতা নিয়ে কোনও সংশয় না থাকলেও ওই সাংসদরা কী করেন সেটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের চিন্তার কারণ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিহারের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে শুরু কীর্তি আজাদরা কোন দিকে ভোট দেন সেদিকেই সবার নজর থাকতে চলেছে। কংগ্রেস নেতা মণিশ তিওয়ারির কথাতেও উঠে এসেছে এই ব্যাপারটাই। তিনি বলেছেন, নানা কারণে এটাই এ সরকারের আমলে সংসদের শেষ অধিবেশন হতে পারে। এমতাবস্থায় বিজেপির কতজন সাংসদ দলের বিরুদ্ধে ভোট দেন সেটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হতে চলছে। তবে এই বিক্ষুব্ধদের নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও ঘুরপথে বার্তা দিয়ে রেখেছে বিজেপি। দলের নেতারা বলছেন, নির্বাচনের আগে সকলেরই উচিত ভাবনা – চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ।
রাজনৈতিক মহলের মতে বিক্ষুব্ধদের এই তালিকায় রয়েছেন কমকরে 6 জন। শত্রুঘ্ন সিনহা ও কীর্তি আজাদ ছাড়া সাবিত্রী দেবি ফুলে,অশোক ধোরে, ছোটে লাল এবং রাজকুমার সাইনিকে নিয়ে চর্চা চলছে এর মধ্যে উত্তর প্রদেশের দলিত নেত্রী সাবিত্রী বেশ কিছু দিন ধরে দলের কয়েকটি কাজে খুশি নন। বিশেষ করে দলিতদের উপর হয়ে চলা অত্যাচার প্রসঙ্গে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার ও কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছেন সাবিত্রী। তাই তিনি কী করেন তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে এই সাংসদদের ভোট কোথায় পড়ে তা নিয়েই চলছে জল্পনা।
যদিও শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়েছেন দলের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন না। সাংবাদিকদের তিনি বলনে, আমি দল ছাড়িনি। দলও আমায় ছাড়েনি। তাই দলের নির্দেশ মেনেই ভোট দেব। একই সঙ্গে বিরোধীদেরও সমালোচনা করেন পাটনা সাহিবের এই সাংসদ। তিনি মনে করেন, বিজেপির কাছে বেশিরভাগ সাংসদেরই সমর্থন আছে। এমতাবস্থায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসে বিরোধী দলগুলি ভুল করেছে।