বুধবার রাজ্যসভায় পেশ হবে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল।
প্রতিবাদ, বিক্ষোভের মাঝেই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (CAB) বুধবার পেশ হতে চলেছে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha)। গত সোমবার লোকসভায় বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও পাস হয় এই বিল। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ নিম্ন কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই ৩১১-৮০ ভোটে বিলটি পাস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যসভায় তাদের আসনসংখ্যা অত বেশি নয়। বর্তমানে রাজ্যসভার আসন সংখ্যা ২৪০। সংখ্যাগরিষ্ঠতার অঙ্ক হল ১২১। এনডিএ, যার মধ্যে এআইডিএমকে, জেডিইউ ও অকালি দলও রয়েছে, তাদের সদস্য ১১৬। অন্য দিক থেকে ১৪টি আরও সমর্থন নিয়ে তারা ১৩০ হতে পারে।
এদিকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিলকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
এই বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ওই বিতর্কিত বিলে মুসলিম অধ্যুষিত আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘু যাঁরা ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রইল সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের লাইভ আপডেট
''যাঁদের ভারত সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই''... নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে কপিল সিবাল
রাজ্যসভায় কপিল সিবাল বলেন, ''আমরা জানি আপনাদের লক্ষ্য এবং আপনাদের আকাঙ্ক্ষা কী। প্রথমে ঘর ওয়াপসি, তারপর তিন তালাক, তারপরে ৩৭০ ধারা, তারপর এনআরসি, তারপর সিএবি, তারপর দেশজুড়ে এনআরসি... আমরা দেখতে পাচ্ছি। আপনাদের কোনও আইডিয়া নেই আপনারা কী করছেন। এই বিলের মাধ্যমে আপনারা এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যেখানে ১৮০-২০০ মিলিয়ন মানুষ আপনাদের বিশ্বাস করতে পারছে না। যাঁদের ভারত সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই, তাঁরা ভারতের ধারণাকে বুঝতে পারবেন না। ভারতকে দু'টি ডায়নোসর দিয়ে জুরাসিক রিপাবলিকে পরিণত করবেন না। ''
ভারতকে দু'টি ডায়নোসর দিয়ে জুরাসিক রিপাবলিকে পরিণত করবেন না।: কপিল সিবাল
কপিল সিবাল রাজ্যসভায় বলেন, ''আমি জানি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোন ইতিহাস বই পড়ে সেখান থেকে বিবৃতি দিচ্ছেন। তিনি বলেচেন কংগ্রেস দেশভাগের জন্য দায়ী। কিন্তু কংগ্রেস দুই দেশ তত্ত্বের বিরোধিতা করেছিল। ভিডি সাভারকার এটাকে সমর্থন করেছিলেন। আম্বেদকর বলেছিলেন, জিন্না ও সাভারকার একে অপরের বিরোধিতা করার বদলে ভারতকে দু'টি দেশে পরিণত করার ইস্যুতে একমত হয়েছিলেন। ফলে আমি আবেদন জানাচ্ছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কংগ্রেসের প্রতি করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে। এই বিল আজ পাস হলে জিন্না যা চেয়েছিলেন সেটাই হবে।''
ভারতকে জুরাসিক রিপাবলিকে পরিণত করবেন না যেখানে দু'টি ডায়নোসর থাকে: কপিল সিবাল
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরোধিতা করল পিডিপি
পিডিপির সাংসদ মির এম ফৈয়াজ রাজ্যসভায় জানালেন, ''আমি এই বিলের বিরোধিতা করছি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরে যেভাবে তিন তালাকের বিল আনছে বা সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করছে তাতে মুসলিমদের আক্রমণ করা হয়েছে। এই সরকার যেদিন থেকে তৈরি হয়েছে মুসলমানদের পিছনে পড়ে রয়েছে।''
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে বক্তব্য রাখলেন সঞ্জয় রাউত
আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আশাবাদী। বিল পাস হলে আপনারা অনুপ্রবেশকারীদের ছুঁড়ে ফেলে দেবেন? যদি আমরা শরণার্থীদ এর গ্রহণ করি, তা নিয়ে কোনও রাজনীতি কাম্য নয়। শরণার্থীদের কি ভোটাধিকার দেওয়া হবে?''
''আমরা কি দেশের নাগরিক নই?'': প্রশ্ন শিবসেনার
সঞ্জয় রাউত রাজ্যসভায় বললেন, ''আমাদের বুঝতে হবে শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য কোথায়। আমাদের কোনও সার্টিফিকেট দরকার নেই আমাদের জাতীয়তা অথবা হিন্দুত্বর। আপনারা যে স্কুলে পড়েন, আমরা সেই স্কুলের হেডমাস্টার। আমাদের স্কুলের হেডমাস্টার ছিলেন বালাসাহেব ঠাকরে। অটলজি, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন। আমরা সবাইকে মানি।''
''আমাদের বুঝতে হবে শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীর পার্থক্য কোথায়'': রাজ্যসভায় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল: রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখলেন শিবসেনার সঞ্জয় রাউত
''আমরা কি দেশের নাগরিক নই?'' প্রশ্ন করলেন সঞ্জয় রাউত।
''কেন কেবল ধর্মীয় নিপীড়ন?'' রাজ্যসভায় প্রশ্ন করলেন পি চিদাম্বরম।
''আপনারা মনে করেন এটা এখানেই থামবে?'': রাজ্যসভায় পি চিদাম্বরম
রাজ্যসভায় পি চিদাম্বরম বললেন, ''আপনারা কি মনে করেন এটা থেমে যাবে এখানেই? এরপর এটা বিচারকদের কাছে যাবে। বিচারপতি ও আইনজীবীরা নির্বাচিত নন। কিন্তু তাঁরাই চূড়ান্চ সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা সাংসদদের মুখে একটা চড় হতে চলেছে। কেননা আমি নিশ্চয়ই ওঁরা এই বিলকে প্রত্যখান করবেন না।''
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বক্তব্য রাখার কথা মোট ৪৮ জনের। এখনও পর্যন্ত এই বিল নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন ৮ জন।
শিবসেনা নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করবে: সূত্র
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরোধিতা করবে শিবসেনা। সূত্রানুসারে তেমনই জানা যাচ্ছে। সোমবার লোকসভায় এই বিলকে সমর্থন করলেও রাজ্যসভায় বিলের বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল: রাজ্যসভায় ডেরেক ও'ব্রায়েনের বক্তব্যের সারসংক্ষেপ
দয়া করে বাংলায় আসবেন না ও শেখাবেন না ভারতীয়ত্ব কী।
ভারত গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছে। অনুমতি দিন আমাকে এবিষয়ে আপনাদের সামনে তথ্য তুলে ধরার জন্য।
জার্মানির অ্যাডলফ হিটলার, সে বলত জার্মান রক্তের কথা। ভারতে আমরা পাচ্ছি জাতীয়তাবাদের ধারণা।
জার্মানিতে ছিল কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। আমরাও ক্যাম্প বানাচ্ছি, যেখানে মানুষ বন্দির মতো বাঁচবে।
জার্মানিতে ছিল ইহুদি নিপীড়ন। ভারতে আমরা দেশব্যাপী এনআরসি পেতে চলেছি।
জার্মানিতে প্রোপাগন্ডা ছিল। আর ভারতে সংবাদমাধ্যমকে কাজ করতে হচ্ছে ভয়ের মধ্যে। প্রচার করতে হচ্ছে সরকারি অ্যাজেন্ডা।
সরকার কাজ করছে তিনটি বিষয়ে- ঝুট, ঝানসা ও জুমলা।
''আমরা গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগোচ্ছি'': ডেরেক ও'ব্রায়েন
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন জানালেন, তিনি নোটবন্দির পরে দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, ''সংবাদমাধ্যমকে চাপ দেওয়া হচ্ছে প্রপাগন্ডা ছড়াতে। এই সরকার কেবলই কথার খেলাপ করেছে।''''দেশের মানুষের খেয়াল রাখতেই আমরা অপারগ। কী করে আমরা বাইরে থেকে যারা আসবে তাদের খেয়াল রাখব'': রাজ্যসভায় ডেরেক ও'ব্রায়েন
''দেশের মানুষের খেয়াল রাখতেই আমরা অপারগ। কী করে বাইরে থেকে যারা আসবে তাদের খেয়াল রাখব'': রাজ্যসভায় ডেরেক ও'ব্রায়েন
''ভয়ানক মিল'': নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে ডেরেক ও'ব্রায়েন
বুধবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন জানালেন, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের সঙ্গে ''ভয়ানক মিল'' রয়েছে জার্মানির কিছু আইনের। তিনি বলেন, বলা হয়্ছে ''ভারত খতরে মে হ্যায়।'' অর্থাৎ ভারত বিপদগ্রস্ত। তাঁর মতে, এই মিথ্যে প্রচার দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক এমনটাই কয়েক দশক আগে জার্মানিতে হয়েছিল।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে বাংলায় বক্তব্য রাখছেন।
অমিত শাহ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের স্থপতি , জানালেন বিজেপির জেপি নাড্ডা
রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিতর্কের সম্প্রচার বন্ধ রাখা হল। বিরোধী সদস্যরা অমিত শাহকে নিগ্রহ করার পরে এই সিদ্ধান্ত স্পিকারের।
''আমাদের ধর্মে আমরা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করি এবং গুরুজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারি। সেক্ষেত্রে সর্দার পটেল মোদিজির সঙ্গে দেখা হলে রেগে যেতেন। গান্ধিজি দুঃখিত হতেন। কিন্তু পটেল খুব রেগে যেতেন।''সংবাদ সংস্থা এএনআইকে রাজ্যসভায় জানালেন কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বক্তব্য রাখছেন নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে আলোচনার সময় রাজ্যসভার অধিবেশনের সম্প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ স্পিকারের।
''এমন দেশ চাই না, যেখানে জানলা ছাড়া প্রাচীর থাকবে।'' রাজ্যসভায় আনন্দ শর্মা জানালেন।
কংগ্রেসের আনন্দ নন্দ শর্মা বললেন, ''এই বিল নৈতিকতার পরীক্ষায় ব্যর্থ। সংবিধানের পরীক্ষাতেও এটি ব্যর্থ। দেশের সংবিধানের বিরোধিতা করে কোনও আইন হতে পারে না।''
আনন্দ শর্মা জানালেন, ''কংগ্রেস দুই দেশের তত্ত্ব আনেনি। প্রথমে হিন্দু মহাসভা বিনায়ক সাভারকারের নেতৃত্বে এটা আনে। পরে মুসলিম লিগ।''
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ভারতের আত্মাকে আঘাত করেছে। রাজ্যসভায় একথা জানালেন কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা।
আমাদের সরকার বিশ্বাস করে ''সব কা সাথ, সব কা বিকাশ'': রাজ্যসভায় অমিত শাহ
২৪৫ সদস্যের রাজ্যসভায় অর্ধেক ১২১, কেননা পাঁচটি আসন শূন্য। ফলে কক্ষের আসন নেমে দাঁড়িয়েছে ২৪০।
''নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমি সব সন্দেহ দূর করব।'': রাজ্যসভায় অমিত শাহ
''উত্তর-পূর্বের সাংস্কৃতিক পরিচয় প্রসঙ্গে বলতে পারি, বলাই হয়েছে এই বিল উত্তর-পূর্বের প্রায় পুরো অংশেই প্রযোজ্য হবে না। এর ফলে লোকসভায় সাংসদরা বিলটিকে সমর্থন জানান।'' রাজ্যসভায় জানালেন অমিত শাহ।
''এখানে কেউ কেউ বিলটি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছেন। আমি তাঁদের এমন না করার আর্জি জানাচ্ছি। এই বিলের উদ্দেশ্য নিয়ে আমি আরও একবার জানাতে চাই, আমরা নির্বাচনি ইস্তেহারেই এটা করার কথা বলেছিলাম। সেই ইস্তেহারই আমাদের সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। এটা পরিষ্কার, ভারতের মানুষ আমাদের এবং আমাদের ইস্তেহারকে ভোট দিয়েছে।'' রাজ্যসভায় তাঁর ভাষণে জানালেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ জানালেন, মুসলিমদের এই বিল নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।
এটা দুর্ভাগ্যজনক যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বেঁচে থাকার সমানাধিকার দেওয়া হয় না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, যতদিন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান বেঁচে ছিলেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদেরও সমানাধিকার ছিল। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ার পর আর এটা নেই: রাজ্যসভায় অমিত শাহ
নাগরিকত্ব বিল লাখ লাখ মানুষকে আশা দেবে, সংসদে বললেন অমিত শাহ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে বলতে গিয়ে জানালেন, লাখ লাখ নিগযহীত মানুষের আশা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভায় পেশ করলেন নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল: রাজ্যসভায় এবিষয়ে বক্তার তালিকা
বিজেপি- জেপি নাড্ডা, সরোজ পান্ডে, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, ভুপেন্দ্র যাদব, বিনয় সহস্রবুদ্ধি
তৃণমূল কংগ্রেস- ডেরেক ও'ব্রায়েন
সিপিএম- টিকে রঙ্গরাজন
সমাজবাদী পার্টি- অধ্যাপক রামগোপাল যাদব, জাভেদ আলি খান
''কী করে সন্দেহ দূর করব'': নাগরিকত্ব বিল নিয়ে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত
লোকসভায় সঞ্জয় রাউত বলেন, ''এই বিল নিয়ে আমাদের সন্দেহ দূর করতে হবে। যদি সন্তোষজনক উত্তর না পাই তাহলে লোকসভায় আমরা যে মত দিয়েছিলাম তার থেকে আলাদা মত দিতে হবে।''
সরকার একশো শতাংশ নিশ্চিত রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাস হয়ে যাবে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রহ্লাদ যোশী।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের আচরণে উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, বুধবার বিজেপির বৈঠকে তিনি বলেন, কিছু দল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটির বিষয়ে পাকিস্তানের মতো একই ভাষায় কথা বলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবারই লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯ পেশ করেন, সেই বিলটি সেখানে ভোটাভুটির মাধ্যমে পাসও হয়ে যায়। বুধবার রাজ্যসভায় ওই বিল নিয়ে বিরাট বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যসভায় এই বিলটি উত্থাপনের আগে বুধবার সকালেই সংসদের গ্রন্থাগার ভবনে নিজেদের রণনীতি ঠিক করতে সংসদীয় বৈঠকে বসে বিজেপি। ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী সহ প্রায় সব শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতারাই।