আইএএফ-এর সি-১৩০জে ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট, সুখোই সু-৩০ লড়াকু বিমান তল্লাশি চালাচ্ছিল নিখোঁজ বিমানটির।
হাইলাইটস
- নিখোঁজ এএন-৩২-র ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলল অরুণাচলপ্রদেশে।
- নিখোঁজ হওয়ার সময় ১৩ জন যাত্রী ছিলেন ওই বিমানে।
- বিমানটি জোড়হাট থেকে অরুণাচলপ্রদেশের মেছুকা যাচ্ছিল।
নিউ দিল্লি: ৩ জুন থেকে নিখোঁজ ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান এএন-৩২-র ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলল অরুণাচলপ্রদেশে। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার সময় ১৩ জন যাত্রী ছিলেন ওই বিমানে। অরুণাচলপ্রদেশের সিংয়াম জেলার পায়ুম সার্কেলে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। বায়ুসেনার একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ১২,০০০ ফুট উপর থেকে নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পায়। বায়ুসেনার একটি টুইটে জানানো হয়েছে, হেলিকপ্টারটি এবার বিস্তৃত এলাকায় তল্লাশি চালাবে। আইএএফ-এর সি-১৩০জে ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট, সুখোই সু-৩০ লড়াকু বিমান, নেভি-পি৮-১ সার্চ এয়ারক্র্যাফ্টের পাশাপাশি আইএএফ ও আর্মির হেলিকপ্টার তন্নতন্ন করে খুঁজে চলেছিল বিমানটিকে। পাশাপাশি ইসরোর উপগ্রহ ও চালকহীন আকাশযানের সাহায্যেও তল্লাশি চালানো হচ্ছিল।
কাজে এলো না ১০৯ ঘণ্টার লড়াই! মৃত্যু ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে যাওয়া শিশুর মৃত্যু
নাইট টাইম সেন্সর অর্থাৎ রাতের বেলাতেও কাজ করার ব্যবস্থাপনার সাহায্যে আর্মি, নেভি ও ইন্দো-টিবেতিয়ান বর্ডার পুলিশ (ITBP) বাহিনীও তল্লাশি চালাচ্ছিল। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে খারাপ আবহাওয়া, জঙ্গল ও দুর্গম এলাকার চ্যালেঞ্জ সামলে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল।
বিমানটি অসমের জোড়হাট থেকে অরুণাচলপ্রদেশের মেছুকার প্রত্যন্ত এলাকায় যাচ্ছিল। দুপুর একটা নাগাদ সেটি আকাশে উড়েছিল।
বায়ুসেনার পক্ষ থেকে দু'টি এমআই-১৭ এবং একটি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (ALH), P8iবিমান যা তামিলনাডু থেকে আনা হয়েছে, তার সাহায্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল।
এনডিএ, ইউপিএ দুই আমলেই জিডিপি বৃদ্ধির মান অতিরিক্ত ধরা হয়েছে
ওই এলাকা অত্যন্ত দুর্গম। সেই সঙ্গে খারাপ আবহাওয়া। ওই স্থানে বিমান ওঠানামা দু'টোই অত্যন্ত কঠিন। বিমানটিতে বিপদ-সংকেত জ্ঞাপক যে যন্ত্র লাগানো ছিল তা ১৪ বছরের পুরনো। সেখান থেকে কোনও সঙ্কেতই মেলেনি।
এএন-৩২ একটি সোভিয়েত নির্মিত দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান। গত চার দশক ধরে এই ধরনের বিমান নিয়মিত ব্যবহার করছে বায়ুসেনা। বায়ুসেনার এই বিমানে যাত্রীপরিষেবাও দেওয়া হত।