This Article is From Aug 11, 2019

কাটমানি থেকে দুর্নীতি, মানুষের প্রশ্নে 'কঠিন সময়' তৃণমূল নেতৃত্বের

গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক, নেতারা। তাতেই টের পাচ্ছেন মানুষের জমে থাকা অসন্তোষ। কেউ ঝাঁঝালো স্বরে, কেউ আবার রীতিমতো তথ্য প্রমাণ দিয়ে উগরে দিচ্ছেন অভিযোগ।

কাটমানি থেকে দুর্নীতি, মানুষের প্রশ্নে 'কঠিন সময়' তৃণমূল নেতৃত্বের

সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনতে দিদিকে বলো কর্মসূচী চালু করেন মমতা বন্দ্যপাধ্যায় (ফাইল)

কলকাতা:

গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক, নেতারা। তাতেই টের পাচ্ছেন মানুষের জমে থাকা অসন্তোষ। কেউ ঝাঁঝালো স্বরে, কেউ আবার রীতিমতো তথ্য প্রমাণ দিয়ে উগরে দিচ্ছেন অভিযোগ। স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষমতার দম্ভেই ক্রমশ জনবিছিন্ন হয়ে পড়ছিল দল। কাটমানি বা দুর্নীতি অস্বস্তিতে জোড়াফুলের শিবির (TMC)। যা দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলছেন সত্যিই ‘কঠিন সময়' (Hard Time)। কিন্তু এড়িয়ে গেলেও চলবে না। ২১ জয়ের লক্ষ্যে হারানো জমি ফেরাতে মরিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো (TMC Supremo)। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) সেই গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর পরামর্শেই, ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচির অংশ হিসাবে মন্ত্রী বিধায়ক সহ হাজার তৃণমূল নেতা যাচ্ছেন বাংলার দশ হাজার গ্রামে। তাতেই প্রমাণ পাচ্ছেন দলের নিচু তলার কর্মীদের কুকীর্তি।

দুর্গাপুজোয় কর, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ইতিমধ্যেই সেই কর্মসূচি এগিয়েছে বেশ খানিকটা। ঘাসফুল শিবিরের এক নেতার কথায়, ‘অনেক গ্রামবাসী সাদরে গ্রহণ করছেন আমাদের। অনেকেই আবার, স্থানীয় নে্তাদের দুর্নীতি (the corruption), কাটমানি (Cut Money), অশোভন আচরণ (Misbehaviour) নিয়ে সরব হচ্ছেন। অপ্রিয় এসব কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের।' নেতার চোখে মুখে তখন বিড়ম্বনা।

দিদিকে বলো কর্মসূচিতে সামিল কোচবিহারের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, ভাঙড়ের আরাবুল ইসলাম বা রেজ্জাক মোল্লার মতো নেতা ও মন্ত্রীসভার সদস্যরা। অসন্তোষ এমন জায়গায় যে তাদের দেখেও রেয়াত করছেন না মানুষ। গ্রামবাসীরা বলছেন অভিযুক্তদের কেন সরিয়ে দেওয়া (throw out) হচ্ছে না? ভোটারদের অভাব অভিযোগ সরাসরি শুনতে পাওয়াকে অবশ্য সত্যের মুখোমুখি হওয়া বলেই মনে করছেন তাঁরা। জানাচ্ছেন, রিপোর্ট জমা দেবেন সুপ্রিমোর কাছে, সিদ্ধান্ত তাঁর।

সরকারি কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রশান্তের বিরুদ্ধে, তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির

ভাঙড়ে রেজ্জাক মোল্লা ও আরাবুল ইসলাম বিবাদ সবার জানা। ভাঙড় থেকে এবার লোকসভায় যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ভালো ব্যবধানে জিতেছেন। কিন্তু, ভোটারদের মধ্যে নানা কারণে ক্ষোভ রয়েছে। আস্থা পুনরুদ্ধারে ভাঙড়ের ভোটারদের বাড়ি গিয়েছিলেন মন্ত্রী আবদুর রেজ্জাক মোল্লা। সেখানেও অসন্তোষের একই ছবি।

মানুষ এতদিন সহ্য করেছে। সুযোগ পেয়েই উগরে দিচ্ছেন রাগ। সমাধানের আশ্বাস দিচ্ছেন বিধায়ক, মন্ত্রীরা। অনেকেই মনে করছেন এতেই ভোটারদের আস্থা যেমন ফিরবে, তেমনই দুর্নীতিগ্রস্তরা বাদ পড়বে দল থেকে। সত্যিই ‘কঠিন কাজ' শাসক দলের।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.