Read in English
This Article is From Dec 26, 2019

'এখনও এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি', এই দাবি সাময়িক বিরতি, পূর্ণবিরতি না: প্রশান্ত কিশোর

এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সেই দাবি আদতে দেশব্যাপী চলা সিএএ এবং এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে করা একটা কৌশলী চাল।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে কটাক্ষ কিশোরের

নয়া দিল্লি:

এখনও এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করা এই দাবি, গোটা প্রক্রিয়ার ওপর সাময়িক বিরতি (pause), পূর্ণবিরতি ((full stop) না। এনআরসির বিরোধিতা করে এভাবে ঘুরিয়ে আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর। রবিবার রামলীলা ময়দানের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, এনআরসি নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। তারপরেই বৃহস্পতিবার জেডি (ইউ) নেতা প্রশান্ত কিশোর সেই মন্তব্যকে ঠুকে টুইটে বলেন, "এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। সেই দাবি আদতে দেশব্যাপী চলা সিএএ এবং এনআরসি-বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে করা একটা কৌশলী চাল। এটা সাময়িক বিরতি (pause), পূর্ণবিরতি  (full stop) নয়। সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য বসে আছে। সেই রায় সরকারের পক্ষে গেলেই আবার সেই প্রক্রিয়া ফিরবে।" ঘটনাচক্রে এই জেডি(ইউ), বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শরিক এবং বিহারে জোট সরকার চালাচ্ছে।যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রামলীলার জনসভায় করা মন্তব্যের সরাসরি বিরোধিতা করে প্রশান্ত কিশোরের এই টুইট কিনা, তা স্পষ্ট বলতে পারেনি ওয়াকিবহাল মহল। 

দিল্লির 'টুকরে-টুকরে' গ্যাংয়ের একটা শিক্ষা হওয়া উচিত: অমিত শাহ

Advertisement

রামলীলার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, 'আমি ১৩০ কোটি নাগরিককে বলতে চাই, ২০১৪ সাল থেকে আমরা ক্ষমতায়। তখন থেকেই এনআরসি নিয়ে কোথাও, কোনও আলোচনাই হয়নি।একমাত্র সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অসমে এই প্রক্রিয়া লাগু হয়েছিল।' সেদিন তিনি গোটা বিষয়ে বিরোধী শিবির, বিশেষ করে কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করে বলেছিলেন, বিরোধীরা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটাচ্ছে।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সেনা প্রধানের বক্তব্যকে ‘‘রাজনৈতিক'' বলে সমালোচনা বিরোধীদের

Advertisement

যদিও এরপরেই বিরোধী শিবিরের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির করা দাবি, তাঁর মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের করা দাবির বিরুদ্ধমত। অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, এনআরসি আসছে এবং গোটা দেশে তা লাগু হবে। যদিও মঙ্গলবার এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিক। সংসদ কিংবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় গোটা দেশের এনআরসি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।এর আগে এই অমিত শাহই ঘুরিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, এনআরসি লাগু হলে নাগরিকত্বের বিচারে মুসলিমরাই সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তবে সরকারি তরফে বারবার সেই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যগুলি আদতে দেশব্যাপী চলা আন্দোলনের মাত্রাকে লঘু করতেই করা, দাবি বিরোধীদের।এই আইনের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ৬০টি আবেদন (পিটিশন) জমা পড়েছে। আগামী জানুয়ারিতেই তা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে উঠবে, বলে খবর। 

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে নিহত দুই মুসলিম ব্যক্তির বাড়ি যাওয়া এড়ালেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী

Advertisement

জানা গেছে, সিএএ'র মাধ্যমে ভারতে এই প্রথম নাগরিকত্ব-পরীক্ষা হবে। সরকারি সূত্র বলেছে, ধর্মীয় কারণে মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি রাষ্ট্রগুলি থেকে যে সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন, এই আইন তাঁদের সাহায্য করবে। কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এটা আদতে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।

Advertisement