বিজয় শেখর শর্মা পেটিএমের কর্ণধার।
দেশের অপরাধপ্রবণ রাজ্যগুলির তালিকায় উত্তরপ্রদেশের স্থান চিরকালই উপরের দিকে। গত মে মাসে প্রায় এক ডজন স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ যায়, যেখানে তাঁদের হুমকি দিয়ে বলা হয়, 14000 ডলার না দিতে পারলে তাঁদের পরিবারের ক্ষতি করে দেওয়া হবে। এরকম যখন অবস্থা, তার মধ্যেই অপরাধীদের লক্ষ্য হয়ে উঠলেন পেটিএমের কর্ণধার বিজয় শেখর শর্মা। কয়েক কোটি টাকা তাঁর কাছ থেকে চেয়ে বসল তাঁর দীর্ঘদিনের এক বিশ্বস্ত সৈনিক। যে এই টাকা তাঁর কাছ থেকে চেয়েছিল, সেও সামান্য কোনও ব্যক্তি নয়। পেটিএমের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোনিয়া ধাওয়ান। তার স্বামী সহ আরও কয়েকজন বিজয় শেখর শর্মার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে অর্থ হাতানোর তালে ছিল। এই মুহূর্তে তারা তিনজনেই নয়ডার লোকসার জেল হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চতুর্থজনকে খুঁজছে কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যক্তিই বিজয় শেখর শর্মাকে ভয় দেখিয়ে ফোন করত বলে অভিযোগ। যদিও সোনিয়া ধাওয়ান ও তার স্বামীর আইনজীবী জানিয়েছেন তাঁর মক্কেলরা কোনও ভুল করেনি।
যদিও, এখনও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর অধরা। কেন পেটিএমের ন'বছরের পুরনো কর্মচারী তার বসের বিরুদ্ধে এমন একটি কাজে জড়িয়ে পড়ল? যেখানে এ কথাটি স্পষ্ট যে, ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলে তার অনেক কিছু হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা? কী কী তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল ওই চারজনের দল? উত্তর হাতড়ে বেরাচ্ছে তদন্তকারী দল।