অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে এসে সার্কাস করা হচ্ছে দাবি বিজেপির।
হাইলাইটস
- তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি
- চিঠিতে বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে সভাকে সমর্থনের বার্তাও দিয়েছেন রাহুল
- এবার সেই চিঠি ঘিরে প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা
কলকাতা: বিজেপি বিরোধী সমাবেশের আগের দিনই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। সেই চিঠিতে বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে সভাকে সমর্থনের বার্তাও দিয়েছিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে দেশকে এক হয়ে লড়ার কথাও বলেছিলেন রাহুল। কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেননি। আর এতেই ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস। সভাপতি সোমেন মিত্র থেকে শুরু করে অন্য নেতাদের অনেকেই বলছেন, তৃণমূল যেভাবে কংগ্রেস ভাঙানোর খেলায় নেমেছে তাতে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া রাহুলের উচিত ছিল। তিনি সেটা করেননি। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ যে এই সাড়ে চার বছরে দেশের গণতন্ত্র বিপদের মধ্যে পড়েছে। নিজের চিঠিতে এই প্রশ্নটিরও উল্লেখ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ব্রিগেডের ময়দান ভরেনি দাবি বিজেপির
এই বিষয়টিকে সামনে রেখে আক্রমণ শানিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি বলেন, রাহুল লিখেছেন, প্রকৃত জাতীয়তাবাদ এবং উন্নয়ন গণতন্ত্র ছাড়া হতে পারে না। কিন্তু মমতা নিজের রাজ্যে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। এরপর এক যোগে তৃণমূল এবং বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন সূর্য। এনেছেন সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগ।
খামোশ! রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে মন্তব্য বলিউডের বিশ্বনাথের
এদিকে সমাবেশকে বিঁধেছে রাজ্য বিজেপিও। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে এসে সার্কাস করা হচ্ছে। তাঁর কথায় যে সমস্ত নেতারা নিজেদের রাজ্যে প্রাসঙ্গিক নয় তাঁদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁর মনে হয় সভার গুরুত্ব আছে মনে করলে রাহুল নিজে আসতেন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দায় সারতেন না। তাছাড়া দলের আরেক নেতা রাহুল সিনহা দাবি করেছেন ব্রিগেডের মাঠ ভরেনি।