গতবছরের অগাস্ট আটক অবস্থায় রয়েছেন Mehbooba Mufti
হাইলাইটস
- ২০১৯ সালের অগাস্ট থেকে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন মেহবুবা মুফতি
- তখন থেকেই তাঁর টুইটার হ্যান্ডেল পরিচালনা করছেন মেয়ে ইলতিজা মুফতি
- এবার মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লার বিরুদ্ধে জন নিরাপত্তা আইন লাগু
নয়া দিল্লি: একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে মা মেহবুবা মুফতির গত কয়েকমাসের দুর্দশার কথা তুলে ধরলেন তাঁর মেয়ে ইলতিজা মুফতি। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর (Mehbooba Mufti) মেয়ের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরের (Kashmir) মানুষজনও "মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এবং মারাত্মক অর্থনৈতিক ও মানসিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন"। ইলতিজা মুফতি (Iltija Mufti) মেহবুবা মুফতির অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে টুইট করে বলেন, "৩৭০ ধারার অধীনে কীভাবে যে আমার মা মেহবুবা মুফতি কাটিয়েছেন তা আমি বলে বোঝাতে পারবো না"। তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে, এই কথা শোনার পরেই ওই টুইট করেন ইলতিজা।
‘‘মুসলিমদের জন্য কোনও দেশ নেই'': নাগরিকত্ব বিল প্রসঙ্গে মেহবুবা মুফতির কন্যা
গত ৬ মাস ধরে গৃহবন্দি রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহববা মুফতি। বৃহস্পতিবার ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে জননিরাপত্তা আইনে বন্দি রাখার পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেন এক জেলা শাসক। এই আইনের মাধ্যমে কোনও বিচারপ্রক্রিয়া ছাড়াই দুই নেতাকে ৩ মাস জেলে থাকতে হতে পারে। এর আগে গত ৬ মাস ধরে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন ওই দুই নেতা।
গত অগাস্ট থেকে মায়ের টুইটার হ্যান্ডেল পরিচালনা করছেন ইলতিজা মুফতি
ইলতিজা মুফতি, যিনি গত বছরের অগাস্ট থেকে তাঁর মায়ের টুইটার হ্যান্ডেলটি পরিচালনা করছেন, তিনি জানিয়েছেন কীভাবে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) প্রধানের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
জনসুরক্ষা আইন লাগু হতে পারে ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে: সূত্র
"যে সপ্তাহে মাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং বন্দি করে রাখা হয়েছিল সেই দিনটার কথা আমি কখনও ভুলব না। পরের বেশ কয়েকটা দিন আমি প্রচণ্ড উদ্বেগের মধ্যে কাটিয়েছিলাম। পরে আমি এটি একটি টিফিন বাক্সের মধ্যে মায়ের পাঠানো একটি লুকনো চিঠি পাই। তাঁর জন্যে বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার পাঠানো হয়েছিল। সেই টিফিন বক্সেই তিনি ওই চিঠিটা পাঠান আমায়"।
ইলতিজা মুফতি জানিয়েছেন যে, টিফিন বক্সের মাধ্যমে পাঠানো চিঠিতে তাঁর মা তাঁকে কী লিখেছিলেন। মেহবুবা মুফতি লেখেন: "ওরা বুঝে গেছে যে আমি যোগাযোগের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করব না।অন্য কেউও যদি এটা করে, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করবে ওরা। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি এবং তোমাকে খুব মিস করছি। "
ইলতিজা মুফতি লিখেছেন, "এই চিঠি পাওয়ার পরেই চিন্তায় পড়ে গেছিলাম যে কীভাবে এই চিঠির জবাব দেবো।আমার দিদা তখন একটা দারুণ বুদ্ধি দেন। তাঁর বুদ্ধিতেই আমি যে চিঠিটি লিখেছি তা ছোট্ট করে ভাঁজ করে, সাবধানে সিল মেরে, পাকিয়ে একটি চাপাটির মাঝখানে দিয়ে পাঠিয়েছি আমি" ।