This Article is From Jun 29, 2019

গণপিটুনিতে মৃত পেহলু খানের বিরুদ্ধেই চার্জশিট!

জয়পুরের একটি পশুহাট থেকে গরু কিনে ছেলেদের সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় জয়পুর-দিল্লি হাইওয়েতে পিটিয়ে মারা হয় পেহলুকে

২০১৭-র এপ্রিলে জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় পহেলু খানের

নয়া দিল্লি:

২০১৭-র এপ্রিল, রাজস্থানের (Rajasthan) জয়পুরের পশুহাট থেকে গরু কিনে হরিয়ানায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন পেহলু খান (Pehlu Khan), সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলেরাও। সেই সময়েই রাজস্থান থেকে বিনা অনুমতিতে ওই গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি এই অজুহাতে পেহলুকে পিটিয়ে মারে (Lynched) গোরক্ষকরা। দুই ছেলের সঙ্গে গরু কিনে ট্রাকে করে হরিয়ানা যাওয়ার সময় জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়কে তাঁদের গাড়ি থামায় গোরক্ষকরা ( cow vigilantes)। তারপর গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় পেহলু খানকে। এক মোবাইল ভিডিওতে পরে দেখা যায়,পেহলুকে ঘাড় ধরে নামিয়ে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুদিন পরে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়। একটি যে ৮ জন অভিযুক্ত পেহলুকে সেদিন মারধর করে তাঁদের বিরুদ্ধে ও দ্বিতীয়টি জেলা শাসকের বিনা অনুমতিতে গরু কিনে নিয়ে আসার অভিযোগে মৃত পেহলু ও তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে। তবে ওই দ্বিতীয় এফআইআরের ভিত্তিতেই এবার চার্জশিট পেশ করল রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার।পেহলু খানের মৃত্যু হওয়ায় পহলুর বিরুদ্ধে মামলা না চললেও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে চলবে মামলা।

শুধু মুসলিম পড়ুয়া নয়, একটাই খাবার ঘর থাকবে সবার, ঘোষণা রাজ্য সরকারের

রাজস্থানের (Rajasthan)  আইন বিভাগের একাধিক ধারা অনুযায়ী গবাদী পশু হত্যা ও চোরাচালানের অভিযোগ আনা হয়েছে পেহলু ও তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে। এই চার্জশিট পেশের পরেই আলোড়ন পরে যায়। তড়িঘড়ি এক বিবৃতিতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী (Rajasthan CM) অশোক গেহলেট বলেন,“বিজেপি সরকারের আমলে ওই ঘটনার তদন্ত করা হয়েছিল এবং সে সময়ই ওই চার্জশিট পেশ করা হয়। এর মধ্যে কোনও অসঙ্গতি মিললে ঘটনার পুনরায় তদন্তে করা হবে''। গণপিটুনিতে অভিযুক্ত ৮ জনকেই জামিনে মুক্ত দেওয়া হয়েছে, যাঁদের মধ্যে দুজন এখন ফেরার বলে জানা গেছে।

“জম্মু কাশ্মীরের এক তৃতীয়াংশ আমাদের সঙ্গে নেই” নেহেরুকে তোপ অমিত শাহের

পহলু খানের ছেলে ইরশাদ খান যিনিও পহলু খানকে গণপিটুনি চলাকালীন তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তিনি এন়ডিটিভিকে জানিয়েছেন যে যাঁরা গণপিটুনিতে যুক্ত ছিল তাঁরা একে অপরকে নাম ধরে ডাকছিল।“আমাদের গাড়ি দাঁড় করানোর পর আমরা তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাই(যা যথেষ্ট ছিল এটা বোঝার জন্যে যে ওই গরুগুলিকে পাচার করা হচ্ছে না),কিন্তু তবু তাঁরা ( cow vigilantes)আমাদের উপর হামলা চালায় ও বেধড়ক মারধর করে। আমার সামনেই আমার বাবাকে মেরে ফেলে ওরা, আমার আর বেঁচে থাকার কোনো অর্থ নেই”,২০১৭তে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন তিনি।

.