রঙবেরঙের কাপড়ে মোড়া ছোট্ট শিশুটিকে ঘিরে আছে তার মায়ের ব্যবহৃত সিরিঞ্জ।
চারপাশ সিরিঞ্জে ঘেরা এক সদ্যোজাতের ছবি ইন্টারনেটে অত্যন্ত ভাইরাল হয়েছে। আইভিএফ বা ইনভিট্রো ফারটিলাইজেশনের চ্যালেঞ্জ বোঝাতে ছবিটা কিছু না বলেই হাজার হাজার কথা বলে দিয়েছে। গত 11ই অগাস্ট ফেসবুকে পোস্ট হওয়ার পর থেকে ছবিটা প্রায় সত্তর হাজারের বেশি রিয়াকশন এবং পঞ্চান্ন হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে।
ছবিটা তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছে প্যাকার ফ্যামিলি ফটোগ্রাফি। “মা বলেছে, ‘4 বছর, 7 বার চেষ্টা, 3 বার গর্ভপাত এবং 1,616 গুলো শট’,” লেখা ছিল ক্যাপশনে। প্যাট্রিসিয়া ও’নেইল এবং তাঁর স্ত্রী কিম্বারলির জীবনে ‘মিরাকেল’ ঘটার আগে তাঁদের এমনই দিন দেখতে হয়েছে। রঙবেরঙের কাপড়ে মুড়ে ছোট্ট শিশুটিকে তাঁর মায়ের জমিয়ে রাখা সিরিঞ্জ দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
“আমরা যখন এই পথে এগিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম, ‘ওহ এ আর এমন কী ব্যপার। আমরা একজন ডোনার বেছে নেবো আর এক রাউন্ড আইইউআই (ইন্ট্রাইউটেরিন ইনসেমিনেশন) করাবো আর তার নয় মাসের মধ্যেই আমাদের নিজেদের সন্তানকে আমাদের কোলে পেয়ে যাব!’ কিন্তু ব্যপারটা এত সোজা নয়!” কিম্বারলি ও’নেইল ই-মেল মারফৎ NDTV-কে জানিয়েছে।
কিন্তু, দুই রাউন্ড আইইউআই-এ ব্যর্থ হয়ে ওই দম্পতি আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নেয়। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁরা দেখেন কিম্বারলি আবার গর্ভবতী হয়েছেন। “প্রতিবার ডাক্তারের কাছে গিয়ে আমরা বসে ভাবতাম এই বুঝি কোনও খারাপ খবর জানতে পারবো। প্রতিবারই আগের বারের মতোই কোনও খারাপ খবর নিয়ে আসতাম। তারপর 3রা অগাস্ট 2018 আমাদের জীবনে মিরাকেল ঘটল!” জানান শ্রীমতী ও’নেইল।
ওই দম্পতি এইভাবেই তাঁদের সন্তানের ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই প্রতিটা সিরিঞ্জ জমিয়ে রেখেছিলেন।
ছবিটায় প্রচুর মানুষ কমেন্টে নিজেদের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।
“ছবিটা দারুণ এবং গল্পটা অসাধারণ”, কমেন্ট সেকশানে লেখেন একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী। “এর আগে পর্যন্ত আমি কখনওই ভাবতে পারিনি হাইপোডারমিক নিডল এত সুন্দর হতে পারে”, লেখেন অন্য একজন ব্যবহারকারী।
ওই দম্পতি ভাবেননি ছবিটা ভাইরাল হবে কিন্তু আশা করেছিলেন তা অন্যান্যদের সাহায্য করবে।
“আমরা ভাবিনি ছবিটা এইভাবে ভাইরাল হবে! আমাদের এটা ভালো লেগেছে যে এই ছবিটা দেখার পর যেসব দম্পতিরা সন্তান জন্ম দিতে চাইছেন তাঁরা অন্তত আমাদের মতো আর হতাশ হবে না”, জানান শ্রীমতী ও’নেইল।
Click for more
trending news