উত্তর প্রদেশের (UP) শাহজাহানপুরের এক গ্রাম অন্য বহুরূপীর গল্প বলছে! বহুরূপীরা (Fancy Dress As Beer) পেটের টানে নানা রূপ ধারণ করেন। কিন্তু শাহজাহানপুরের সিকান্দারপুরের আফগান গ্রামের 'বহুরূপী'দের অন্য টান। তাঁদের ঠিক 'বহুরূপী' বলা যাবে না। আদতে বাঁদরের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ভাল্লুকের পোশাক ধারণ করেছেন সেই গ্রামের দুই যুবক। গত প্রায় এক দশক ধরে শাহজাহানপুরের এই গ্রামে বাঁদরের উৎপাত। এই অভিযোগ নিয়ে বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে গ্রামবাসীদের। তাঁদের অভিযোগ, "খেতের ফসল থেকে রান্নাঘরের খাবার সব যায় বাঁদরের পেটে। ঘরের বাইরে কোনও বাচ্চা ঘুরলে তাকেও কামড়াতে ছুটে আসে ওই বাঁদরের দল। এমনকি গত দেড় বছরে বাঁদরের ভয়ে খাট থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই বৃদ্ধার।" প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন এই নিয়ে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমন দাবিও করেছেন ওই গ্রামের প্রবীণ নাগরিকরা। তাহলে এখন উপায়? এ প্রশ্নের জবাবে গ্রামবাসীদের দাবি, তাঁরা একজোড়া ভাল্লুকের পোশাক বানিয়েছেন। সেই পোশাক দুই যুবককে পরিয়ে গোটা গ্রামে ঘোরাচ্ছেন তাঁরা। এভাবেই গ্রাম ঘুরে বাঁদর তাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয়রা।
Viral Video: "ঠিক করে কেন মহড়া হচ্ছে না," পুলিশকর্মীকে সজোরে লাথি 'ট্রেনার' হনুমানের
গ্রামের এক প্রবীণ অশোক কুশওয়াহা বলেছেন, "একবছর আগে আমি গ্রাম পঞ্চায়েতের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সেই আধিকারিকের নির্দেশে বন দফতর থেকে একটা দল গ্রাম পরিদর্শনে এসেছিল। তারা মথুরার একটা সংস্থার সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছিল। তারা প্রতি বাঁদর পিছু ৩০০ টাকা চেয়েছিল। বাঁদরের সংখ্যা অনেক থাকার জন্য সেবার আর কথা এগোয়নি।"
ভরসা আর্কিমিডিস! অভিনব পন্থায় কুয়োয় আটকে থাকা হাতি উদ্ধার বন দফতরের
এ বিষয়ে জেলা বন আধিকারিক আদর্শ কুমার বলেছেন, "কেউ বাঁদর ধরছে না। ভাল্লুকের পোশাক পরে ওদের এলাকা ছাড়া করছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে বাঁদর নিয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। সেই অভিযোগ আসলেই আমরা বাঁদর ধরার অনুমতি দেবো।"