Read in English
This Article is From Apr 13, 2019

দিল্লির ‘শবরীমালা’? এই পারসি মন্দিরেও মাসিকের সময় মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পবিত্র আগুনের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে ঋতুস্রাবের সময়কালে জরাথুষ্ট্রপন্থী নারীদের বর্জন করাটা ধর্মের মূল, অপরিহার্য এবং অপরিবর্তনীয় অংশ।”

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

আদালতে এই মামলার শুনানি হবে ২৬ অগাস্ট

নিউ দিল্লি :

উত্তর থেকে দক্ষিণ পিরিয়ড নিয়ে ট্যাবু সর্বত্রই এক! শুধু কেরলে নয় শবরীমালার মতো মন্দিরের নয়মকানুন বিভিন্ন জায়গাতেই রয়েছে তা আবারও প্রমাণ করে দিল দিল্লির পার্সি আঞ্জুমান বা ডিপিএ (Delhi Parsi Anjuman)। দিল্লি হাই কোর্টকে তাঁরা জানিয়েছেন যে, ঋতুস্রাবের সময় নারীদের থেকে মন্দিরের পবিত্র আগুনকে রক্ষার উদ্দেশ্যেই (protecting the consecrated fire) এই মন্দিরে মাসিকের সময় ঢুকতে দেওয়া হয় না মহিলাদের। ওই মন্দির আরও জানিয়েছে আগুনের এই মন্দিরের অভ্যন্তরে জরথুষ্ট্রপন্থা সহ যেকোন ধর্মের নারীদের এই সময়ে মন্দিরে (Fire Temple) প্রবেশ অবৈধ এবং সাংবিধানিকভাবেও অনুমতিযোগ্য নয়।

 কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবির নাম দিলেন বিজ্ঞানীরা, কেন বাছাই হল হাওয়াইয়ান নাম

প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন ও বিচারপতি এ বি ভামভানীর বেঞ্চের কাছে দায়ের করা প্রতিবেদনে ডিপিএ জানায়, “এমনকি শারীরিক আঘাত ও রক্তপাত ঘতা অবস্থায় জরথ্রুষ্ট মতাদর্শের (Zoroastrianism) পুরুষরাও আগুনের মন্দিরে ঢুকতে পারবেন না।"

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, “পবিত্র আগুনের সুরক্ষার উদ্দেশ্যে ঋতুস্রাবের সময়কালে জরাথুষ্ট্রপন্থী নারীদের বর্জন করাটা ওই ধর্মের মূল, অপরিহার্য এবং অপরিবর্তনীয় অংশ।”

আইনজীবী সঞ্জীব কুমারের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার (পিআইএল) দাবি ছিল যে, ডিপিএর পবিত্র আগুনের মন্দিরের প্রবেশের জন্য পারসি নন এমন পুরুষ ও মহিলাদের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে হবে।

Advertisement

এই মামলার বিরুদ্ধে, ডিপিএ তাঁদের উত্তরে দাবি করে যে এই আবেদনটি ভুল এবং এতে অপরিহার্য বিশ্বাসের অজ্ঞতা ফুটে উঠেছে, জরথুষ্ট্রের মতবাদের মূল নীতি, এর গঠন এবং নয়ম কানুন না জেনেই এমনটা বলা হয়েছে। 

ইতিহাসের সেই নোতরদাম গির্জার মূর্তি সার বেঁধে উড়ছে আকাশে! অভূতপূর্ব দৃশ্য

Advertisement

আদালতকে জানানো হয় যে, ডিপিএ ১৯৫৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রাস্ট ঘোষণার অধীনে প্রতিষ্ঠিত এবং সেই অনুযায়ীই রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় এবং এটি ব্যক্তিগত টাকায় চলে। এই মন্দির সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের আওতায় রয়েছে যে কারণে শবরীমালা মন্দিরের থেকে এই ঘটনাকে পৃথক করার অনুরোধও জানিয়েছেন তাঁরা।

আদালত এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি করবে ২৬ আগস্ট।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement