This Article is From Feb 17, 2020

"স্কাই ইজ দ্য লিমিট": সুপ্রিম কোর্টে মামলা জিতে বললেন মহিলা সেনা আধিকারিকরা

Woman in Combat: দিল্লি হাইকোর্টে মহিলা সেনা আধিকারিকদের প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবী মীনাক্ষী লেখিকে মামলা জয়ের পরে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়

Indian Army: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আইনজীবী মীনাক্ষী লেখি এবং সেনাবাহিনীর মহিলা আধিকারিকরা জয় উদযাপন করেন

হাইলাইটস

  • মহিলা সেনা আধিকারিকদের পক্ষে শীর্ষ আদালত রায় দেওয়ায় খুশির হাওয়া
  • নিজেদের জয় উদযাপন করছেন মহিলা সেনা অফিসাররা, সঙ্গে রয়েছেন তাঁদের আইনজীবীও
  • "স্কাই ইজ দ্য লিমিট", বললেন আইনজীবী মীনাক্ষী লেখি
নয়া দিল্লি:

এগোচ্ছে দেশ, এগোচ্ছেন দেশের নারীরা। এবার মহিলাদের অগ্রণী ভূমিকায় পাশে থাকল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মহিলা সেনা অফিসাররা (Women Army Officers) পুরুষ সেনা অফিসারদেরই সমকক্ষ, তাই ভারতীয় সেনার (Indian Army) নেতৃত্ব দিতেই পারেন তাঁরা, সোমবার ঐতিহাসিক রায়ে এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগির বেঞ্চ এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের দেওয়া যুক্তিকে বৈষম্যমূলক ও বিরক্তিকর বলে উল্লেখ করে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার মানসিকতা পরিবর্তন করার সময় এসেছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ভারতীয় সেনায় এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় আদালত (Supreme Court)।

দিল্লি হাইকোর্টে মহিলা সেনা আধিকারিকদের প্রতিনিধিত্ব করা আইনজীবী মীনাক্ষী লেখিকে মামলা জয়ের পরে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়। দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সেই রায়ে মহিলা সেনা আধিকারিকদের পক্ষেই সায় দেয় শীর্ষ আদালত। তাই আনন্দে গা ভাসিয়েছেন ভারতীয় সেনার মহিলা আধিকারিকরাও।

"চিরাচরিত ভাবনা" থেকে বেরিয়ে ভারতীয় সেনা বাহিনীতে মহিলাদের নেতৃত্বে সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

সেনাবাহিনীর শর্ট সার্ভিস কমিশনে (এসএসসি) ১৪ বছর চাকরি করা মহিলাদের স্থায়ী কমিশনের বিকল্প দেওয়া হবে কিনা এই প্রসঙ্গেও সেনা আধিকারিকদের পক্ষে রায় দেয় শীর্ষ আদালত। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এসএসসিতে ১৪ বছরের চাকরির সময়কালে সীমাবদ্ধ রাখা নয়, সকল মহিলা অফিসারকে স্থায়ী কমিশন দিতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়ের পরে আদালতের বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইনজীবী মীনাক্ষী লেখি বলেন, "সেনা কর্তৃপক্ষ কীভাবে ভারতীয় মহিলা সেনা আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল আদালত সে বিষয়েও তার পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। পুরুষ অফিসারদের যে সমস্ত অধিকার আছে তার সব অধিকার পাওয়ারই যোগ্য মহিলা অফিসাররা জানিয়ে দিয়েছে আদালত ... ফলে এখন স্কাই ইজ দ্য লিমিট"।

সরকার পক্ষের আইনজীবী ওই মামলার শুনানিতে বলেন, এ দেশে এখনও যুদ্ধক্ষেত্রে মহিলাদের নেতৃত্বের জন্যে ঠিক উপযুক্ত নয়। রণক্ষেত্রে মহিলাদের কম্যান্ডিং অফিসার হিসেবে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে জওয়ানরাও ততটা প্রস্তুত নন। তাছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটি থেকে শুরু করে নানা অসুবিধা রয়েছে মহিলাদের। যদিও এই যুক্তি খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।

"কেন্দ্রের যুক্তি বিরক্তিকর": সেনায় মহিলা নেতৃত্ব প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত

বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেন, প্রশাসনের মানসিকতার বদল দরকার। তবেই সেনাবাহিনীতে মহিলা-পুরুষ এই বৈষম্য দূর হবে। কম্যান্ডিং অফিসার শুধু নয়, সেনাবাহিনীর অন্যান্য পদেও মহিলাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকা উচিত নয়। কেননা মহিলারা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৮ সালের অগাস্টে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছিলেন যে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর মহিলা অফিসারদের জন্যে এবার শর্ট সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে স্থায়ী কমিশন নেওয়ার বিকল্প রাখা হবে।

মহিলা সেনা আধিকারিকদের শর্ট সার্ভিস কমিশনের প্রসঙ্গেও সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এসএসসিতে ১৪ বছরের চাকরির সময়কালে সীমাবদ্ধ রাখা নয়, সকল মহিলা অফিসারকে স্থায়ী কমিশন দিতে হবে।

.