৯১ জন রোগীকে চামারাজনগর থেকে মাইসুরুতে স্থানান্তর করা হয়
বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকের চামারাজনগর জেলার একটি মন্দিরে চালের তৈরি প্রসাদ খেয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৮২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশুও। সূত্রের খবর, পুলিশ আরও পাঁচ সন্দেহভাজনকে খুঁজছে। বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে কিচু মারান্দা মন্দিরের ভক্তরা চাল জাতীয় বিষাক্ত প্রসাদ খাওয়ার পরেই মর্মান্তিক এই ঘটনার সূত্রপাত। মন্দিরে উপস্থিত একজন ভক্ত জানান যে, তাদের টমেটো, চাল আর চরণামৃতের জল দেওয়া প্রসাদ দেওয়া হচ্ছিল। প্রসাদ খাওয়ার পর বেশ কয়েকটি কাকও মারা গেছে বলে জানা গেছে।
চামারাজনগরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী পুত্তারাঙ্গা শেঠিও হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি জানান, দুই দলের মধ্যে বিরোধ থেকেও প্রসাদে বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়ে থাকতে পারে।
"যেই অপরাধী হন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ তদন্ত করছে এবং ইতিমধ্যেই দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। দুই দলের মধ্যে কিছু সমস্যা ছিল। আমার মনে হয় সেকারণেই কিছু ঘটেছে", জানান শেঠি। রোগীদের বমি, ডায়রিয়া এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের চিকিত্সা চলছে বলে তিনি জানান। ভেন্টিলেশনের সহায়তার সত্ত্বর প্রয়োজন ছিল। সেকারণেই মাইসুরুর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীরা স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।
মন্ত্রী জানান, ৪৭ জন রোগীকে বেঙ্গলুরুর কেয়ার হাসপাতালে, ১৭ জনকে মাইসুরুর জেএসএস হাসপাতালে এবং অন্যান্যদের মাইসুরুর অন্য হাসপাতালগুলিতে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রায় ৯১ জন রোগীকে চামারাজনগর থেকে মাইসুরুতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতেই হাসপাতালের রোগীদের পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। নিহতদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াহও আজ হাসপাতালে রোগীদের সাথে দেখা করেছেন।
পুলিশ জানায়, মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানের পর ধর্মীয় উৎসবে ওই প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "ডাক্তাররা বিষাক্ত কীটনাশক হতে পারে বলে মনে করছেন, তদন্তের পরেই নিশ্চিত করা যাবে যে কীভাবে বিষাক্ত পদার্থ খাদ্যে প্রবেশ করেছে।”