தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Aug 28, 2019

J&K -এর বিশেষ মর্যাদা রদের বিরুদ্ধে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

Jammu and Kashmir: বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি আটক থাকা দলীয় নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামির মুক্তির জন্যেও আদালতে আবেদন করেছেন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

Jammu and Kashmir: এখনও জম্মু ও শ্রীনগরের বেশ কিছু জায়গায় বিধিনিষেধ আরোপ করা রয়েছে

নয়া দিল্লি:

আজ অর্থাৎ বুধবার, সুপ্রিম কোর্টে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিশেষ মর্যাদাকে (Article 370) বাতিল করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা একগুচ্ছ আবেদনের শুনানি। ন্যাশনাল কনফারেন্স ও অন্যরা জম্মু ও কাশ্মীরকে (J&K) দ্বিখণ্ডিত করার বিষয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপকে বেআইনি ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। পাশাপাশি, কাশ্মীর টাইমসের কার্যনির্বাহী সম্পাদক গণমাধ্যমের উপর থেকে প্রতিবন্ধকতা প্রত্যাহার করার বিষয়েও আবেদন জানিয়েছেন। বাম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি জম্মু ও কাশ্মীরে আটক থাকা দলীয় নেতা মহম্মদ ইউসুফ তারিগামির মুক্তির জন্যেও আদালতে আবেদন করেছেন।

ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আবেদনগুলি গ্রহণ করবেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি এস এ বোবদ এবং এস আবদুল নাজির। 

সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো পিটিশনগুলির মধ্যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে রাষ্ট্রপতির যে নির্দেশের মাধ্যমে সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত হওয়া রাষ্ট্রের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছিল, তা অবৈধ।

Advertisement

আবেদনে বলা হয়েছে, ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে এই জাতীয় নির্দেশ কেবল তখনই জারি করা যেতে পারে যখন ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভারও সম্মতি থাকবে। ১৯৫১ সালে ওই রাজ্যের বিধানসভার সম্মতিক্রমেই সংবিধানের ধারাটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাই এটি রদের বিষয়ে সিদ্ধান্তটিও রাজ্য বিধানসভার মতামত তথা সম্মতির উপর নির্ভরশীল।

জম্মু থেকে তোলা হল নিষেধাজ্ঞা, তবে কাশ্মীরে আরও কিছুদিন জারি থাকবে বিধিনিষেধ

Advertisement

ওদিকে সরকার দাবি করেছে যে রাজ্যটি রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে থাকাকালীন, রাজ্য বিধানসভার ক্ষমতাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংসদে স্থানান্তরিত হয়ে গেছে ।  সুতরাং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নির্দেশের উপরেই গোটা বিষয়টি নির্ভরশীল।

আবেদনে আরও বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত রাতারাতি  জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং স্বাধীনতাকে হরণ করেছে । এই পরিবর্তন সে রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পরামর্শ ছাড়া এ  কার্যকর করা যায় না।

Advertisement

"রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পরামর্শ অনুযায়ী একই সংবিধানিক কার্যবিধির সঙ্গে তার পরিবর্তনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের বা তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পরামর্শ বা সম্মতি ছাড়াই মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপার এবং স্পষ্টতই এটা নির্বিচার"একটি আবেদনে একথাও উল্লেখ করা হয়।

Jammu Kashmir Issue: মৌলিক অধিকার হারিয়ে "বিরক্ত" রাজ্যবাসী, চাকরি ছাড়ছেন আইএএস অফিসার

Advertisement

৫ অগাস্ট সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে যে কোনও ধরণের প্রতিক্রিয়া এড়াতে ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়, এবং বিশাল সমাবেশ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এলাকায় ৫০,০০০ এর বেশি অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করাও হয়। সূত্র মারফৎ খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি সহ ৪০ জন মূলধারার রাজনৈতিক নেতাকেও আটক করে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন জম্মু ও কাশ্মীরের সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement