মুম্বইয়ের বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন পায়েল তড়ভি
মুম্বই: জাত-ধর্ম নিয়ে মুম্বইয়ের বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী পায়েল তড়ভিকে (Payal Tadvi) ক্রমাগত উত্যক্ত করত ওই হাসপাতালেরই তিন সিনিয়র ডাক্তার। রোজের এই উৎপীড়ন সহ্য করতে না পেরে মাত্র ২২ বছরেই গত মে মাসে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন পায়েল। কিন্তু সুইসাইড নোট (suicide note) না পাওয়ায় পায়েলের মৃত্যু নিয়ে ধন্দে ছিল মুম্বই পুলিশ। অবশেষে, পায়েলের মোবাইল (mobile phone) থেকেই মিলল তাঁর লেখা সুইসাইড নোট। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন পায়েলের আইনজীবী। একই সঙ্গে প্রমাণিত হল, হত্যা নয়, সিনিয়র চিকিৎসকদের র্যাগিংয়ের চোটেই আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
যদিও এই ঘটনার পরেই হাসপাতালের তিন সিনিয়র ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে আত্মহত্যার নোটটি না মেলায় স্তব্ধ হতে বসেছিল তদন্তের গতি। শুধু সুইসাইড নোট নয়, পায়েলের মোবাইলে রয়েছে তিন অভিযুক্ত হেমা আহুজা, অঙ্কিতা খান্ডেলওয়াল, ভক্তি মেহেরের ছবি। এই তিনজনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন পায়েল। আপাতত এই তিনজনেই রয়েছে জেল হাজতে। গত ২৪ জুন বম্বে হাই কোর্ট তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে। এবিষয়ে আইনজীবীর অভিযোগ, সম্ভবত তদন্তের গতিমুখ ঘোরাতেই কে বা কারা নষ্ট করে দিয়েছিল সমস্ত প্রমাণ। ফরেনসিক তদন্তের ফলেই পায়েলের ফোন থেকে আবার পাওয়া গেল সেসব।
তড়ভির পরিবারের অভিযোগ, হস্টেলে ক্রমাগত বর্ণবিদ্বেষের শিকার হচ্ছিল তাঁদের মেয়ে। র্যাগিং করা হচ্ছিল পায়েলকে। যদিও সেই অভিযোগ মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেয় তিনজনেই। তাঁদের কথায়, পায়েলকে কোনোদিনই ধর্ম-জাতি নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। বরং, সে-ই ঠিকমতো কাজ করতে পারত না। সেই অবসাদেই আত্মহত্যা করে পায়েল।
পায়েলের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ তৈরি হয় জনসাধারণের মনে। ঘটনার পরে পথে নেমে প্রতিবাদ জানায় বিভিন্ন সংস্থা।
ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। আগামী ১৬ জুলাই হাইকোর্টে ফের মামলার শুনানি ও জামিন আবেদন উঠবে।