লকডাউনে বন্ধ দৈনিক রোজগার, জেলার আদিবাসী, দিনমজুরদের পাশে দাঁড়াল ঘরবন্দি কলকাতা
Updated: March 24, 2020 16:31 IST
কলকাতা এখন ঘরবন্দি। বন্দিদশা কবে কাটবে এই অজানা আতঙ্কে লকডাউন ঘোষণা হওয়া মাত্র প্রয়োজনীয় খাবার আর রোজের সামগ্রী সংগ্রহ করতে বেরিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সত্যিই দিন এনে দিন খেতে যারা অভ্যস্ত তাদের কাছে প্রয়োজনের সামগ্রী কি পর্যাপ্ত? বোলপুর থেকে শুরু করে ক্যানিং, প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়াল কলকাতা। মূলত ফেসবুকের পোস্ট থেকে যোগাযোগ শুরু হয়ে চাল ডাল আর সাবান পৌঁছে গেল ইঁটভাটার শ্রমিকদের কাছে, দিনমজুর মানুষদের কাছে, আদিবাসী বাসিন্দাদের কাছে।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছিলেন বিজ্ঞাপনী চলচ্চিত্র নির্মাতা শৌর্য দেব। প্রথম ডাক ফেসবুকেই। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বন্ধ হলেও ভার্চুয়াল যোগাযোগে বাধা নেই। আর তাই প্রয়োজনে পাশে থাকার মানুষও সাড় দেন পোস্টেই।
ক্যানিং, বোলপুর সহ আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে যোগাযোগ হয়ে যায় পুষ্পেন্দু, অরিজিৎদের সঙ্গে। আর বাকিটা সত্যিই এক মন ভালো রাখার গল্প।
চলছে তথাকথিত প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের কাছে যতটুকু সম্ভব মূল খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ। তবে তা যথেষ্ট সতর্কতাযোগে ও স্পর্শ বাঁচিয়েই। বোলপুরের রতনপল্লীর কাছে, বাগানপাড়া এলাকা সহ আরও বেশ কিছু জায়গায় আদিবাসীদের গ্রামে কলকাতা থেকে পৌঁছে গেল চাল ডাল আর সাবান।
সার দিয়ে যত্নে রাখা ২ কেজি করে চাল, ৫০০ গ্রাম করে মুসুর ডাল আর একটি করে সাবান। তবে জমায়েত নয়, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের নিয়ম মেনেই একে একে এসে নিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
সন্ধির পক্ষ থেকে পুষ্পেন্দু জানান, ক্যানিংয়ের কাছে একটি জায়গায় ইঁটভাটা রয়েছে। সেখানে ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বাস। চেষ্টা করা হচ্ছে সেখানেও পর্যাপ্ত চাল আর ডাল পৌঁছে দেওয়ার।
শুধু প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়াই নয়, কীভাবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে নিজেকে বাঁচানোর একমাত্র পথ হতে পারে সচেতনতা ও পরিচ্ছন্নতা সেই বার্তাও পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
ঘরবন্দি কলকাতা, ঘরবন্দি জেলাও। তবু মানুষের পাশে মানুষ হয়ে দাঁড়ানোর ডাক সমস্ত নৈমিত্তিক যোগাযোগের থেকে এক অপরিসীম উচ্চতায় অমলিন। কেবল রোগ নয়, মাঝে মাঝে পাশে থাকাও এমনই সংক্রামক হলে ক্ষতি কী!