This Article is From Aug 29, 2019

Pickyourtrail: অফিসে বোর? এবার থেকে পোষ্য নিয়ে কাজ করুন আনন্দে

ফেসবুক আর গুগল দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে চেন্নাইয়ের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি ইতিমধ্যেই তাদের অফিসে কর্মীদের পাশাপাশি জায়গা করে দিয়েছে তাঁদের পোষ্যদেরও।

Pickyourtrail: অফিসে বোর? এবার থেকে পোষ্য নিয়ে কাজ করুন আনন্দে

পোষ্য নিয়ে অফিসে কাজ

Chennai:

কী করলে অফিস কর্মীদের কাজে মন বসবে বেশি করে? যদি আপনার প্রিয় পোষ্য আপনার পাশে থাকে তাহলে কি বেশি উৎসাহী হবেন অফিস গোয়ার্সরা? সম্ভবত তাই-ই। আর তাই ফেসবুক আর গুগল দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে চেন্নাইয়ের একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি ইতিমধ্যেই তাদের ১১ হাজার স্ক্যোয়ার ফিটের অফিসে কর্মীদের পাশাপাশি জায়গা করে দিয়েছে তাঁদের পোষ্যদেরও। আর সত্যিই এই ব্যবস্থায় খুশি কর্মীরা রোজ অফিসে নিয়ে আসছেন তাঁদের পোষ্যদের। কাজও নাকি হচ্ছে ঝড়ের বেগে!

চেন্নাইয়ের পিকিওরট্রিলের এই অফিসের এক কর্মী, বছর ৩২-এর স্যামি নাকি প্রায়ই তাঁর আট বছরের ডনিকে নিয়ে আসেন অফিসে। ডনি বসে থাকে তাঁর পায়ের নীচে। ল্যাপটপে দিব্য কাজ করেন সামি।

এই বিষয়ে স্যামির বক্তব্য, খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছে কাজের পরিবেশ। সারাক্ষণ সবাইকে প্রচুর চাপ নিতে হয়। তাই পোষ্যকে নিয়ে কাজ করলে সেই চাপ অনেকটাই কমে। এনার্জি বাড়িয়ে দেয় পোষ্যেরা। তাঁর দাবি, "আমার কুকুর মন ভালো করে দেয় খুব সহজেই। আমি কাজে উৎসাহ পাই আগের থেকে অনেক বেশি।"

আর ব্রেক টাইমে এখন যে যাঁর পোষ্যকে নিয়ে নাকি দিব্য আড্ডায় মাতেন। 

ov7ubls8

অফিসের আরেক কর্মী শ্রীনিবাসনের মতে, চাকরি পাওয়ারসময়েই কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছিলেন, পোষ্য নিয়ে কাজে আসতে। তাই অফিস নাকি তাঁর কাছে দ্বিতীয় হোম। প্রতিদিন তাকে পাশের চেয়ারে বসিয়ে মন দিয়ে কাজ করেন তিনি। পোষ্য একটুও বিরক্ত করে না!  প্রসঙ্গত, শহরে একা থাকেন তিনি। তাই বাড়িতে পোষ্যকে একা বন্ধ করে রেখে আসতে তাঁর একটুও মন চায়নি। নতুন চাকরি তাই তাঁর খুব পছন্দের। তবে পোষ্যেদের মালিককে কাজের ফাঁকে এটুকু দেখতে হয় যে, তাঁদের পোষ্য যেন কোনোরকম অসুবিধের সৃষ্টি না করে অফিসে।

সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা শ্রীনাথ এবং হরি এবিষয়ে জানিয়েছেন, তাঁরাও পোষ্য ভালোবাসেন। তাই নতুন অফিসের ২০০ জন কর্মী যখন তাঁদের পোষ্যদের নিয়ে আসেন, হাসিমুখে কাজ করেন, দেখে খুবই আনন্দ পান।

.