ন্যাশনাল হাইওয়ে ১১-এর খুদওয়ানি ব্রিজের কাছে পাওয়া এই আইইডিটিতে ২৫ কেজি বিস্ফোরক ভর্তি দুটি সিলিন্ড্রিক্যাল কনটেইনার ছিল
নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের লাগানো একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি (IED) নিষ্ক্রিয় করল সেনার একটি বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। ন্যাশনাল হাইওয়ে ১১ (National Highway 11)-এর খুদওয়ানি ব্রিজের (Khudwani Bridge) কাছে পাওয়া এই আইইডিটিতে ২৫ কেজি বিস্ফোরক ভর্তি দুটি সিলিন্ড্রিক্যাল কনটেইনার ছিল। সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, বোমাটি যদি বিস্ফোরিত হত তবে এর ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়া এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ভয় ছড়ানোর পাশাপাশি প্রচুর প্রাণহানি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হত। সেনাবাহিনীর একটি দল টহল দেওয়ার সময় এই আইইডি সনাক্ত করে। পরে ওই জায়গাটি ফাঁকা করে দিয়ে বোমা ডিসপোজাল স্কোয়াডকে (BDS) তাড়াতাড়ি নিয়ে গিয়ে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ‘‘কাশ্মীরে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে সঠিক সময়ে'': রাজ্যসভায় অমিত শাহ
সেনারা টহল দেওয়ার সময়ই এই আইইডি দেখতে পান
বিডিএস দলের সদস্যরা, ভারী এবং প্রতিরক্ষামূলক স্যুট পরে ডিটেক্টর এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করেই আইইডির কাছে যান।
বোমা নিষ্ক্রিয় স্কোয়াডের সদস্যরা প্রথমে আইইডির আশেপাশের অঞ্চলটি খনন করে। বিস্ফোরকটিকে দেখতে পাওয়ার পরেই তাঁরা ডিভাইসটিকে ডিফিউস করে এবং একটি নিরাপদ স্থানে বিস্ফোরণ ঘটায়।
বোমা নিষ্ক্রিয়কারী স্কোয়াডের সদস্যরা আরও বিস্ফোরকের সন্ধানে কাছাকাছি অঞ্চলগুলিতেও অভিযান চালান।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে নিহত শ্রমিকদের গ্রামে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভারতীয় সেনাবাহিনী এই সাহসী অভিযানের পরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায় যে, “এই জাতীয় বর্বর আচরণ” কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে বাধা দেওয়ার প্রচেষ্টা।
পরে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণে আইইডিটি ফাটানো হয়েছিল
অগাস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কাশ্মীর কঠোর সুরক্ষায় মোড়া ছিল। কেন্দ্র সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে এই রাজ্যের ‘বিশেষ মর্যাদা'র অবলুপ্তি ঘটিয়ে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয় এই রাজ্যকে। এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পরেই তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ কয়েকশ রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরে এবং ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
পোস্টপেইড মোবাইল ফোনের সংযোগ এবং ল্যান্ডলাইন পরিষেবা চালু হয়েছে বর্তমানে। কেন্দ্র জানিয়েছে যে, বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা একটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে বলেন যে “রাজ্যের প্রবীণ নেতাদের বক্তব্য বিবেচনা করেই” এই নিষেধাজ্ঞাগুলি আরোপ করা হয়েছিল এবং এই পদক্ষেপের ফলেই জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি ছিল।