Read in English
This Article is From Oct 18, 2019

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছি, কিন্তু তাঁর তত্ত্বকে ভারতের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে: পীযূষ গয়াল

নোবেল পুরস্কারজয়ী (Nobel winner) অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বিজেপি সরকারের অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by ,

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বিজেপি সরকারের অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন। (ফাইল)

নয়াদিল্লি:

২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী (Nobel winner) মার্কিন-ভারতীয় অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Banerjee) ‘‘পুরোপুরি বামপন্থী''। এবং তাঁর তত্ত্বকে ভারতের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। শুক্রবার এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল (Piyush Goyal)। স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদকে তার আগে অবশ্য অভিনন্দন জানান তিনি। এস্থার ডুফ্লো এবং মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে নোবেল পুরস্কারজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই বিজেপি সরকারের অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে পীযূষ গয়াল জানান, ‘‘অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। আমি তাঁকে অভিনন্দন জা‌নিয়েছি। কিন্তু আপনারা সকলেই জানেন তাঁর ভাবনাচিন্তা কেমন। তাঁর ভাবনাচিন্তা সম্পূর্ণ বামপন্থী। তিনি অকপটে NYAY প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ভারতের মানুষ তাঁর চিন্তাভাবনাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছেন।''

NYAY অথবা ন্যূনতম আয় যোজনা হল পরিবারগুলির বছরে ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার প্রকল্প, যা কংগ্রেস এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতায় এলে কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নির্বাচনে হেরে গিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু রাহুল গান্ধি টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নোবেলজয়ীকে। পাশাপাশি NYAY প্রকল্পের জন্য তাঁর প্রশংসাও করেছেন।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ঘরেই বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন বিভিন্ন সময়ে। নোটবন্দির পরেও তিনি নিন্দা করেছিলেন সরকারের পদক্ষেপের।

সম্প্রতি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিরও সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, অর্থনীতি যখন সমস্যায় পড়েছে, তখন আর্থিক স্থিরতার থেকে বেশি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে চাহিদা। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি চাহিদা এই মুহূর্তে অর্থনীতির খুব বড় সমস্যা।''

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে এই নিয়ে বিতর্ক হয় যে কোন তথ্য সঠিক, কোনটা নয়। এবং সরকারের একটা নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে যে, যে সমস্ত তথ্য অস্বাচ্ছন্দ্যদায়ক, সেগুলি ভুল। তবে যাই হোক, আমি মনে করি যে এটি এমন একটি বিষয় যে  সরকারও ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যা যে আছে তা স্বীকার করে নিয়েছে। সুতরাং অর্থনীতি ক্রমশই ধীরগতিপ্রাপ্ত হচ্ছে। তবে কতটা দ্রুত এটা ধীরগতিপ্রাপ্ত হচ্ছে তা আমরা জানি না। কিন্তু তথ্যে ত্রুটি থাকলেও আমি মনে করি দ্রুতই সেটা হচ্ছে।''

Advertisement