Read in English
This Article is From Nov 11, 2019

মসজিদে মূর্তি রাখার পরই অযোধ্যায় মামলা শুরু হয়: শীর্ষ আদালত

শীর্ষ আদালত শনিবার তাদের রায়ে জানিয়েছে একটি ট্রাস্ট গঠন করে রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from PTI)

মসজিদে মূর্তি রাখার পরই অযোধ্যার বিতর্কিত জমি সংক্রান্ত প্রথম পাঁচটি মামলা রুজু হয়।

নয়াদিল্লি:

১৯৪৯ সালে বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) ভিতরে মূর্তি রাখা হয়। এরপরই ওখানে এই বিতর্কিত জমি সংক্রান্ত প্রথম পাঁচটি মামলা রুজু হয়। শনিবার অযোধ্যা (Ayodhya) মামলার রায় শোনানোর সময় একথা জানায় পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত বলে, ১৯৪৯ সালের ১২ নভেম্বর ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ওখানে পু‌লিশ মোতায়েন করা হয়। পরে ফৈজাবাদের জেলা শাসক কেকে নাইয়ারকে চিঠি পাঠান সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক। সেই চিঠিতে তিনি জানান, হিন্দুরা জোর করে মসজিদে প্রবেশ করে মূর্তি স্থাপন করতে চাইছে। পাশাপাশি ওয়াকফ ইনস্পেকটর একটি রিপোর্টে জানান, মসজিদে প্রার্থনা করতে যাওয়ার সময় তাঁরা হিন্দুদের দ্বারা নিগৃহীত হচ্ছেন। শনিবার বিচারপতিদের বেঞ্চ এই কথা জানায়।

'মসজিদ নয়, ভারতীয় মুসলিমদের স্কুলের প্রয়োজন', অযোধ্যা রায়ে মন্তব্য সেলিমের

বেঞ্চ এও জানায়, সেই সময় ফৈজাবাদের ডেপুটি কমিশনারও ছিলেন কেকে নাইয়ার। তিনি ১৯৪৯ সালের ৬ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের হোম সেক্রেটারিকে জানান, মসজিদের নিরাপত্তা নিয়ে মুসলিমদের আশঙ্কাকে বিশ্বাস করার দরকার নেই।

১৯৪৯ সালের ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর ৫০-৬০ জন মি‌লে এসে মসজিদের তালা ভেঙে সেখানে ভগবান রামের মূর্তি স্থাপন করে। পরে এই নিয়ে একটি এফআইআর দায়ের হয়।

Advertisement

শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের বকেয়া পাওনা মিটিয়ে দেওয়া উচিত: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

১৯৪৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিবকে লেখা এক চিঠিতে কেকে নাইয়ার বিস্ময় প্রকাশ করেন ওই ঘটনা সম্পর্কে। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে মসজিদ থেকে মূর্তি সরাতে অস্বীকার করেন।

Advertisement

পরের দিন আরও একটি চিঠিতে জানান, তিনি ওই মূর্তি সরানোর জন্য কোনও হিন্দুকে পাননি।

তিনি প্রস্তাব দেন, ওই মসজিদে হিন্দু বা মুসলিমদের প্রবেশ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেবল ন্যূনতম সংখ্যক পূজারীদের ঢুকতে দেওয়া হোক।

Advertisement

এরপর ফৈজাবাদ তথা অযোধ্যার অতিরিক্ত নগরপাল ১৯৪৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর একটি নির্দেশ জারি করেন। তিনি ওই বিতর্কিত জমিটি মিউনিসিপ্যাল বোর্ডের সভাপতি প্রিয়া দত্ত রামের হাতে ন্যাস্ত করেন।

১৯৫০ সালের ১৬ জানুয়ারি এক হিন্দু ভক্ত গোপাল সিংহ বিশারদ ফৈজাবাদের দেওয়ানি বিচারকের কাছে মামলা রুজু করে জানান, তাঁকে মন্দির চত্বরে পুজো করতে যেতে বাধা দিয়েছে সরকারি কর্মীরা।

Advertisement

এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে নির্মোহী আখড়ার তরফে অবশ্য বারবারই এই ঘটনাগুলিকে অস্বীকার করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে, মূর্তিগুলি মসজিদের কেন্দ্রী গম্বুজের তলায় বরাবরই ছিল।

শীর্ষ আদালত শনিবার তাদের রায়ে জানিয়েছে একটি ট্রাস্ট গঠন করে রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে। এবং মসজিদ নির্মাণের জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়া হবে মুসলিমদের।

Advertisement