কলকাতা: রাজ্যে প্লাজমা ব্যাংক তৈরি হলেও অভাব প্লাজমার (Plasma Bank IN Bengal)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে এমনটাই খবর। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে সংক্রমণ মুক্ত কমবেশী ১৭ হাজার মানুষ। কিন্তু স্বেচ্ছায় প্লাজমা দিতে এগিয়ে এসেছেন মাত্র ১৫ জন। ফলে সংক্রমিতদের দেহে প্লাজমা থেরাপির (Plasma Therapy to Covid-19 patients) উদ্যোগ বাধাপ্রাপ্ত। এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, এযাবৎকাল যাঁরা প্লাজমা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মী। কিন্তু সেই দান অপ্রতুল। মে'র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্লাজমা থেরাপি চালু হলেও, সেভাবে উদ্যোগী নয় দাতারা। যদিও প্লাজমা ব্যাংক ঘিরে আশার আলো দেখছেন গবেষক-চিকিৎসকরা। সায়রী পাইন নামে বছর ২৫-এর এক স্বাস্থ্যকর্মী সম্প্রতি প্লাজমা দান করেছেন। তাঁর মন্তব্য, "অশীতিপর ঠাকুমা আমার অনুপ্রেরণা। এই বয়সেও করোনার সঙ্গে লড়ে তিনি সুস্থ। ঠাকুমা আমাকে বলেছেন, যদি তোর প্লাজায় একজনের প্রাণ বাঁচে তাহলে দিতে ক্ষতি কী। আমার বয়স থাকলে আমিও দিতাম" জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের নার্স সায়রী। সেই হাসপাতালের ইমিউনো-হেমাটোলজি বিভাগে কর্মরত সায়রী। এখানেই রাজ্য সরকার তৈরি করেছে প্লাজমা ব্যাঙ্ক।
এই বিভাগ সিএসআইআর এবং আইআইসিবি'র সঙ্গে যার ভাবে প্লাজমা ট্রায়াল চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৪০ জন রোগীর দেহে এই ট্রায়াল চলেছে। অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এমনটাই দাবি।
প্লাজমা থেরাপি প্রসঙ্গে গবেষক-চিকিৎসক দ্বৈপায়ন গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, "আমরা মোট সুস্থ রোগীর মধ্যে ২০%-এর সম্মতি পেয়েছি। ওদের আশঙ্কার কারণ আবার সংক্রমণ। আসলে একবার সংক্রমিত অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। সেই অবস্থা যাতে ফিরে না আসে সেটা নিশ্চিত করতে চান তাঁরা। আমি বলতে পারি প্লাজমা দানে ফের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।" যদিও দক্ষিণ কোরিয়ায় প্লাজমা দানের পর ফের সংক্রমিত হওয়ার একটা খবর ছড়িয়েছে। সেটা সম্পূর্ণ অসত্য। এদিন দাবি করেন ওই গবেষক-চিকিৎসক।
অপর এক প্লাজমা দাতা অমৃতা পাণ্ডা বলেছেন, "আমি প্লাজমা দান করেছি, কারণ এটা আমার সামাজিক দায়িত্ব।"
গত সপ্তাহেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।