This Article is From Sep 14, 2019

প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়তে সিগারেটের শেষ অংশ টুকুও নিষিদ্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র

Plastic Ban: ঠাণ্ডা পানীয়ের ছোট্ট প্লাস্টিকের বোতল থেকে শুরু করে থার্মোকলের প্লেট এমনকী সিগারেট খেয়ে যে অংশটি ফেলে দেন আপনি, সবই নিষিদ্ধ করে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়তে সিগারেটের শেষ অংশ টুকুও নিষিদ্ধ করতে চলেছে কেন্দ্র

একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য ভারতের শীর্ষস্থানীয় দূষণ বিরোধী সংস্থা দেশের জন্য একটি পরিকল্পনার খসড়াও প্রস্তুত করছে

নয়াদিল্লি:

ঠাণ্ডা পানীয়ের ছোট্ট প্লাস্টিকের বোতল থেকে শুরু করে প্লাস্টিকের চামচ, থার্মোকলের (polystyrene) প্লেট এমনকী সিগারেট খেয়ে যে অংশটি ফেলে দেন আপনি, সবই নিষিদ্ধ করে দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একক ব্যবহারের প্লাস্টিক (single-use plastic) বন্ধ করার লক্ষ্যে পানীয় রাখার জন্য ব্যবহৃত ছোট প্লাস্টিকের বোতল, সাজানো এবং সিগারেটের বাটগুলির জন্য ব্যবহৃত থার্মোকল সহ ১২ টি সামগ্রীর উপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার একক ব্যবহারের প্লাস্টিকাকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার অভিপ্রায় প্রকাশ করলেও তা কার্যকর করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা জানায়নি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান (Union Minister Ram Vilas Paswan) এনডিটিভিকে বলেছিলেন পর্যায়ক্রমে দেশে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হবে।

সরকার কেন্দ্রীয় পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (Central Pollution Control Board) কাছে নিষিদ্ধ করার জন্য উপস্থাপন করবে এমন সামগ্রীর একটি তালিকা তৈরি করেছে। ওই তালিকায় রয়েছে: পাতলা ক্যারি ব্যাগ (৫০ মাইক্রনেরও কম), বোনা নয় এমন ক্যারি ব্যাগ, ছোট মোড়ক/প্যাকিং ফিল্ম; স্ট্র এবং কাপে গোলার কাঠি; কাটলেরি: ফোমের কাপ, বাটি এবং প্লেট; ল্যামিনেট করা বাটি এবং প্লেট; ছোট প্লাস্টিকের কাপ এবং পাত্র (১৫০ মিলি এবং ৫ গ্রামের কম); প্লাস্টিকের ইয়ার বাড, বেলুন, পতাকা এবং ক্যান্ডির জন্য প্লাস্টিকের কাঠি; সিগারেট বাট; পলিস্টেরিন; পানীয়ের জন্য ছোট প্লাস্টিক (২০০ মিলির কম) এবং রাস্তার ধারে প্লাস্টিকের ব্যানার (১০০ মাইক্রনেরও কম)।

২০২২ সালের মধ্যে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক একক-ব্যবহারের প্লাস্টিক সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার জন্য ভারতের শীর্ষস্থানীয় দূষণ বিরোধী সংস্থা দেশের জন্য একটি পরিকল্পনার খসড়াও প্রস্তুত করছে। প্লাস্টিক শিল্পকে শুক্রবারের মধ্যে এই সামগ্রীগুলির বিকল্প সম্পর্কে তাদের পরামর্শও জমা দিতে বলা হয়েছিল।

দিল্লি ও পাঞ্জাবে প্লাস্টিক কাটলেরি কারখানার মালিক ব্যবসায়ী দীনেশ ভারতী জানিয়েছেন, ব্যবসা আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি, তবে আপাতত সেই পরিকল্পনা শিকেয় উঠেছে। তিনি এনডিটিভিকে বলেন যে, প্রায় দেড় কোটি টাকার নতুন ছাঁচের অর্ডার দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে প্রস্তাবিত প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞার অনিশ্চয়তার কারণে তিনি তা করতে পারছেন না।

দিল্লির লাজপত নগরে একটি দোকানে লেস এবং বোতাম বিক্রি করেন সুরজ। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই কাগজ এবং কাপড়ের ব্যাগে জিনিস দেওয়া শুরু করেছেন তিনি। সুরজের কথায়, “সরকার আমাদের যা বলেছে আমরা তা করব। মেনে চলা ছাড়া বিকল্প নেই আমাদের কাছে।"

অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে একক ব্যবহারের প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে কর্মসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। রামবিলাস পাসওয়ান বৃহস্পতিবার এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “প্লাস্টিকের নতুন বিকল্পগুলি নতুন কাজের সুযোগও তৈরি করবে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বলেছিলেন যে ভারতকে একক ব্যবহারের প্লাস্টিক থেকে মুক্ত করার প্রথম পদক্ষেপ করা হবে ২ অক্টোবর, মহাত্মা গান্ধির জন্মবার্ষিকীতে।

.