যুবকের কথা শুনে পুলিশ কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
হাইলাইটস
- নাগপুরের একটি থানায় মাত্র কয়েকদিন আগেই এই ঘটনাটি ঘটেছে
- খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন নাগপুরের পুলিশ কমিশনার ভূষণ কুমার উপাধ্যায়
- আইন নেই তাই যুবককে সাহায্য করতে পারেনি পুলিশ
নাগপুর: রিলে অন্য গ্রহ থেকে আসা সেই মানুষটা ভগবানের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল! ‘পেট মোটা' ভগবানের শারীরিক বর্ণনাও তুলে ধরেছিল ভিন গ্রহের বাসিন্দা ‘পিকে'। ঠিক কার নামে অভিযোগ দায়ের হচ্ছে বুঝতে পেরে অবাক হয়েছিলেন পুলিশ কর্মী। এবার বাস্তবেই ঘটে গেল তেমন একটা ঘটনা। নাগপুররে একটি থানার দ্বারস্থ হয়ে এক যুবক জানালেন, তাঁর ‘মন চুরি' হয়ে গিয়েছে। কোনও এক তরুণী তাঁর মন চুরি করে গা ঢাকা দিয়েছে। হাজার খোঁজ- খবর করেও তাঁর সন্ধান মিলছে না। এখন পুলিশের উচিত সেই মন-চোরকে খুঁজে বের করা।
যাত্রী সেজে ময়দান স্টেশনে ঢুকে কী করতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন ২৩ জন?
হারিয়ে যাওয়া জিনিস খুঁজে পেতে পুলিশের শরণ নেওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ‘মন' হারিয়ে গেলে তা কী ভাবে খুঁজে পাওয়া যায় সেটা পুলিশ জানে না। আইনেও এমন কোনও সংস্থান নেই। তাই যুবকের কথা শুনে পুলিশ কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। যুবককে জানিয়ে দেওয়া হয় এরকম কোনও আইন এ দেশে নেই। অতএব তাঁকে সাহায্য করা পুলিশের পক্ষে অসম্ভব।
জানা গিয়েছে নাগপুরের একটি থানায় মাত্র কয়েকদিন আগেই এই ঘটনাটি ঘটেছে। খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন নাগপুরের পুলিশ কমিশনার ভূষণ কুমার উপাধ্যায়। কিছু দিন আগে শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি হওয়া প্রায় ৮২ লাখ টাকার সামগ্রী মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাগপুর পুলিশ। সেখানেই সাংবাদিকদের কমিশনার বলেন, চুরি হয়ে যাওয়া জিনিস আমরা খুঁজে দিতে পারি কিন্তু অনেক সময় এমন সমস্ত অভিযোগ আসে যার কিনারা করা আমাদের পক্ষেও অসম্ভব।