কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (home ministry) নির্ধারিত নতুন বিধি অনুসারে, এখন যে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে (NGOs) বিদেশি অনুদান গ্রহণের জন্য সংস্থার কর্মচারী ও আধিকারিকদের সরকারকে জানাতে হবে যে তাদের উপরে কখনও ধর্মান্তরণের মামলা চালানো হয়নি বা কখনও এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হতে হয়নি। সোমবার সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বিদেশি অনুদান (রেগুলেশন) নিয়ম ২০১১-র পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর ফলে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত উপহারের কথা জানাতে হবে না। আগে ২৫,০০০ টাকা বেশি মূল্যের উপহারের ক্ষেত্রে জানাতে হত। ওই বিজ্ঞপ্তিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সংক্রান্ত ঘোষণাটিও করা করা হয়।
জানিয়ে দেওয়া হয়, যে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পদাধিকারী বা মুখ্য অধিকারী বা সদস্যদের প্রমাণ করতে হবে তাঁদের কখনও ধর্মান্তরণ করানোর অভিযোগ বা সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়নি।
এর আগে বিদেশি অনুদান নেওয়ার জন্য কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শীর্ষ পদাধিকারী ব্যক্তিদেরই কেবল এই ঘোষণা করতে হত।
এখন কেবল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শীর্ষ পদাধিকারীদেরই নয়, তাদের প্রত্যের সদস্যকেই নিশ্চিত করতে হবে তাঁরা কখনও দেশদ্রোহের প্রচার বা হিংসা ছড়ানোর কাজে মদত দেয়নি।
এই নতুন নিয়মে এটাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, বিদেশ সফরে কোনও সদস্যের মেডিক্যাল আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তাঁর চিকিৎসা হলে এক মাসের মধ্যে সরকারকে সেই ব্যাপারে জানাতে হবে। সেই সদস্যকে বিস্তারিত ভাবে সে সম্পর্কে জানাতে হবে। যথা- অনুদানের উৎস, ভারতীয় টাকায় আনুমানিক মূল্য, উপলক্ষ এবং টাকাটা ব্যবহার করা হয়েছে কোন কোন খাতে।
জানানো হয়েছে, দু'মাসের বিষয়ে অবহিত করতে হবে।
গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির অনুদান গ্রহণের বিষয়ে নিয়ম আরও কড়া করেছে।
নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রায় ১,৮০০ এনজিও থেকে বিদেশি তহবিল অর্জনের অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।