মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আমফানের ত্রাণের জন্য ১৯০ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম কেয়ারস তহবিলের বিষয়ে বিশদ প্রকাশ করতে অস্বীকার করায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চলা আক্রমণের মাঝেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার জানিয়েছেন যে অনুদান প্রাপ্তির বিষয়ে তার সরকারের কিছুই গোপনীয় নেই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং আমফানের ত্রাণের জন্য ১৯০ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকার ৬,৫০০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে এবং আরও বেশি টাকার প্রয়োজন পড়বে। তিনি রাজ্য সচিবালয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, COVID-19 সংকট সামলানোর জন্য প্রায় দেড়শ কোটি এবং আমফান মোকাবিলায় ত্রাণের জন্য ৪০ কোটি টাকা সরকার অনুদান হিসেবে পেয়েছে সাধারণ মানুষের থেকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি পিএম কেয়ারস তহবিল তৈরি ও পরিচালনা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন। এই নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখেও পড়েছে বিজেপি সরকার। সেই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা কী পরিমাণ অনুদান পেয়েছি তা গোপন করার কিছুই নেই। আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে পিছপা হই না।" নরেন্দ্র মোদির অবশ্য বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল বিষয়ে RTI আইন, ২০০৫-এর আওতায় কোনও জনসাধারণের তথ্য জানার অধিকার নেই।
প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সহায়তা এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ত্রাণ (PM CARES) তহবিলটি কোভিড-১৯ মহামারী এবং অন্যান্য অনুরূপ জরুরি অবস্থার সময় অনুদান গ্রহণ এবং ত্রাণ প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
“জনগণের কাছ থেকে আমরা যা কিছু সহায়তা পেয়েছি আমরা সংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করেছি। আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি যে তহবিলটি সরকার স্বচ্ছতার সঙ্গেই জনস্বার্থে ব্যবহার করবে, অন্য কোনও কারণে নয়,” বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
“আমি এই তহবিলে সাহায্য করার জন্য সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। আমি দেখেছি মানুষজন COVID-19 এর জন্য সাধ্যমতো ৫০ টাকা অনুদান দিয়েও আমাদের সহায়তা করেছেন,” বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।