Read in English
This Article is From Dec 12, 2019

“প্রধানমন্ত্রী অনেককিছু বলেছেন, যেগুলির সবই ভুল”, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বললেন কপিল সিব্বল

কপিল সিব্বল বলেন, যদি অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়া ১৯ লক্ষের তালিকা. বড় সংখ্যায় হিন্দু না থাকত, তাহলে সরকার বিল আনত না

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

কপিল সিব্বল জানান, সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে চ্যালেঞ্জ করবে কংগ্রেস

নয়াদিল্লি:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Citizenship Amendment Bill/CAB)  অসাংবিধানিক এবং আদালত তার বৈধতা ঠিক করবে, বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল (Kapil Sibal) । এদিনই কয়েকঘন্টা আগেই সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাবিত আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়। সুপ্রিম কোর্টে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের হয়ে লড়ছেন কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “যদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলে, এই বিল বৈধ, ভাগ্য ভাল, তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নন। শুধুমাত্র তিনি বৈধ বলার জন্যই, এটা বৈধ হবে না। আমরা মনে করি, এটা অসাংবিধানিক এবং আদালত স্থির করবে”। কপিল সিব্বল বলেন, যদি অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়া ১৯ লক্ষের তালিকা. বড় সংখ্যায় হিন্দু না থাকত, তাহলে সরকার বিল আনত না।

কপিল সিব্বল বলেন, “বিজেপি বুঝতে পারেনি, যে ১৯ লক্ষ মানুষ জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বাইরে, তাঁরা হিন্দু হতে পারেন। তাঁরা মুসলিম হলে, বিলটি আসত না।  তারা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তবে আদালত না করে দিয়েছে। তাহলে উপায় কী? একমাত্র উপায় হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল”।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের অমুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সংসদে পাশ হয়ে যাওয়ায় সেটি আইন হওয়ার পথে।

Advertisement

অসম সহ উত্তর-পূর্বের অন্যান্য রাজ্যে বিলটির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ, সেখানকার বাসিন্দাদের আশঙ্কা, প্রতিবেশী বাংলাদেশের অভিবাসীদের বৈধতা দিলে, সেখানকার জনবৈশিষ্ট পাল্টে যাবে।

কংগ্রেসের রাজ্যসভার এই সাংসদ বলেন, “অসমের আসল সমস্যা হল, যাঁদের নাম এনআরসিতে নেই, এবং তাঁদের পরম্পরা প্রমাণ করতে হবে, বলা হয়েছে তাঁরা ভারতীয়, এবং এখানে বহু বছর ধরে বাস করছেন। কোনও আইনে সরকার তাঁদের নিপীড়ন করবে”?

Advertisement

তাঁর কথায়, “পুরো নাগরিকত্ব বিলটাই হিন্দুদের সুবিধার্থে, কতটা সেটা হবে তাতে আমি সন্দিহান”।

পিল সিব্বল বলেন, সংবিধানে, নাগরিকত্ব ঠিক হয় মূলত তিনটির ভিত্তিতে—ভারতে জন্ম, ভারতে অভিভাবকের জন্ম এবং ভারতীয় ভু-খণ্ডের বাসিন্দা। তাঁর কথায়, “আর কোনও চতুর্থ ভিত্তি নেই। এরমধ্যে ধর্ম আসে না”।

Advertisement

অসমে হিংসার ঘটনায় কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, তা নিয়ে কপিল সিব্বল বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য বেশী বিশ্বার করি না। তিনি অনেক কিছু ব্যাপারে অনেক কথা বলেছেন, যেগুলি সবই ভুল”।

Advertisement