This Article is From Mar 18, 2020

পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু করেছে ভারত-বাংলাদেশ, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ, এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যাপক এবং উন্নয়নমূলক নীতি নেওয়া হচ্ছে।

পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু করেছে ভারত-বাংলাদেশ, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

এদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি

নয়াদিল্লি:

বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বাংলাদেশকে ধ্বংসের মুখ থেকে বের করে এনেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান (Sheikh Mujibur Rahman), একটি ইতিবাচক এবং উন্নত সমাজ তৈরি করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তিনি, মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি খুশি যে, গত কয়েক বছরে, পারস্পরিক সম্পর্কে সোনালি মুহূর্ত তৈরি করেছে ভারত ও বাংলাদেশ”।  বুধবার ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান, সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও বহু বিদেশি অতিথি।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমরা সবাই খুব ভালভাবে জানি, কীভাবে উৎপীড়ন এবং নিষ্ঠুর শাসন, সমস্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নষ্ট করেছে, ‘বাংলা ভূমিতে' অবিচার করা হয়েছে এবং মানুষকে ধ্বংস করা হয়েছে”। তাঁর কথায়, “তিনি পুরোপুরি পরিষ্কার ছিলেন যে, কোনও দেশেরই উন্নয়নের ভিত্তি ঘৃণা এবং নেতিবাচকতা হতে পারে না”।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ, এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যাপক এবং উন্নয়নমূলক নীতি নেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, “এটা সত্যই প্রশংসনীয়”। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, সেটা অর্থনীতি হোক, বা সামাজিক ক্ষেত্র হোক, ক্রীড়াক্ষেত্র হোক, আজ অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ। দক্ষতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ক্ষমতায়ন, ক্ষুদ্র অর্থনীতি সব জায়গায় অপ্রত্যশিত উন্নতি করেছে বাংলাদেশ।  

মঙ্গলবারের ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমি এটা খুবই খুশির সঙ্গে উল্লেখ করছি যে, গত পাঁচ, ছয় বছরে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ক্ষেত্রে সোনালি মুহূর্ত তৈরি করেছে  ভারত ও বাংলাদেশ এবং আমাদের জুটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। এটা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে যে, আমরা যার কারণ, জল ও স্থলসীমান্তের মতো জটিল সমস্যা মেটাতে পেরেছি”।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ, শুধুমাত্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সঙ্গীই নয়, উন্নয়নেরও সঙ্গী। তাঁর কথায়, “ভারতে তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ বহু মানুষের বাড়ি  ও বাংলাদেশের কারখানায় আলো দেয়। বন্ধুত্ত্বের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে”। তবে রাস্তা, রেল, বায়ু, জলপথ অথবা ইন্টারনেট, বহুক্ষেত্রে আমাদের  সহযোগিতা আমাদের দুই দেশের মানুষকে আরও বেশি যুক্ত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে, ২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি। তাঁর কথায়, “আমি আত্মাবিশ্বাসী যে, দুই মাইলস্টোনই ভারত ও বাংলাদেশকে শুধুমাত্র নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে না, বরং দুই দেশের বন্ধুত্ত্বের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে”। তিনি আরও বলেন, দুই দেশের পারষ্পরিক ঐতিহ্য রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজি নজরুল ইসলাম, উস্তাদ আলাউদ্দিন খান, লালন শাহ, জীবনানন্দ দাস, এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ঘিরে।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.