'গো ব্যাক মোদী' লেখা বিভিন্ন চিত্র ও কার্টুন ঘুরে বেড়াচ্ছে টুইটার ও ফেসবুকে।
হাইলাইটস
- এইমস হাসপাতালের শিলান্যাস করতে তামিলনাড়ু আসছেন নরেন্দ্র মোদী
- টুইটার ও ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে 'গো ব্যাক মোদী' লেখা কার্টুন
- গত বছর চেন্নাই সফরে এসেও বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী
চেন্নাই: তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে AIIMS-এর শিলান্যাসের জন্য রবিবার উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে টুইটারে যেভাবে ‘গো ব্যাক মোদী ট্রেন্ড করতে শুরু করেছে, তা বিজেপি এবং নরেন্দ্র মোদী, দু'তরফের কাছেই প্রবল দুশ্চিন্তার কারণ। সাইক্লোন গাজার দাপটে তামিলনাড়ুর ওই জেলাটিতে ৩ লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। কমপক্ষে ১১ লক্ষটির মতো গাছ শিকরবাকড়-সহ উপড়ে যায় মাটি থেকে। সেই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা থেকে যে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ জন্মেছিল, তারই বহিঃপ্রকাশ এই টুইটার-উষ্মা। বেশিরভাগ টুইটেই প্রয়াত দক্ষিণী নেতা এ ভি পেরিয়ারের একটি কার্টুন বলছে ‘গো ব্যাক মোদী'। যে কার্টুনটির চারপাশ জুড়ে রয়েছে তামিলনাড়ুর মানচিত্র। গেরুয়া জ্যাকেট পরা নরেন্দ্র মোদী চপার থেকে নামিয়ে দেওয়া মইয়ের দিকে দৌড়চ্ছেন প্রাণপণে। অর্থাৎ, কার্টুনটির মূল বক্তব্য একটাই। মাদুরাই তথা গোটা তামিলনাড়ুর গর্জনে ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ প্যারেডের সঙ্গেই রাজপথের এই ঘটনার দিকে নজর ছিল গোটা দেশের
শুধু টুইটারেই নয়। ফেসবুক জুড়েও শুরু হয়েছে এই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী ক্যাম্পেন। যদিও, এর বিপরীত চিত্রটিও রয়েছে বহাল তবিয়তেই। হাজার হাজার এমন টুইটও রয়েছে, যেখানে নরেন্দ্র মোদীকে মাদুরাইতে এইমস বানানোর জন্য শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে। সেই টুইটগুলি চলছে হ্যাশট্যাগ'মাদুরাই থ্যাঙ্কস মোদী' বা হ্যাশট্যাগ' তামিলনাড়ু ওয়েলকামস মোদী'- এই রকম কয়েকটি শব্দবন্ধ দিয়ে।
ওয়াকিবহালমহল জানাচ্ছে, কেবলমাত্র মাদুরাইয়ের সাইক্লোনে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হাত গুটিয়ে বসে থাকাই নয়, তুতিকোরিনে স্টারলাইট বিরোধী আন্দোলনে গুলি চলায় ১৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় নরেন্দ্র মোদীর মৌনতাও ব্যথিত করেছে রাজ্যের সাধারণ মানুষদের।
এছাড়া, কাবেরীর জল নিয়েও কেন্দ্রের কর্নাটকের দিকে হেলে থাকাকেও ভালো চোখে দেখেনি তামিলনাড়ুর মানুষ।
“দেখুন, এর নেপথ্যে আমাদের কোনও ভূমিকাই নেই। এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এইমস হাসপাতালের পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ ২ বছর আগেই শুরু হওয়া উচিত ছিল। তাহলে এই সময়টায় হাসপাতাল চালু হয়ে যেতে পারত। ওঁরা এই প্রকল্প নিয়ে এত গড়িমসি করলেন কেন? এই শিলান্যাস লোকসভা নির্বাচনের আগে একটি গিমিক ছাড়া আর কিছুই নয়”, এনডিটিভিকে বলেন ডিএমকে মুখপাত্র এ সর্বানন।