এখানে রইল ১০'টি তথ্য:
কোচ্চিকারে সেন্ট অ্যান্থনি মঠে পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আমার বিশ্বাস, শ্রীলঙ্কার আবারও উঠে দাঁড়াবে। সহানুভুতির সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে রয়েছে ভারত”।
হামলার পর শ্রীলঙ্কার প্রতি সহাননুভতির পদক্ষেপ হিসাবেই প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ভারত দ্বীপ রাষ্ট্রটির পাশে রয়েছে বলে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
.মলদ্বীপের পর রবিবার সকালে কলোম্বোয় পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে বন্দরনায়েক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে।
শ্রীলঙ্কা পৌঁছানোর পরেই সরকারিভাবে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানের সময়, দেখা যায়, বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য, রাষ্ট্রপতি মৈথিলিপালা সিরিসেনা তাঁর নিজের এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর মাথায় ছাতা ধরে রেখেছেন।
সারাদিনের সফরে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে এবং বিরোধী দলনেতা মহিন্দ্রা রাজাপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তামিল দল দ্য তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের একটি প্রতিনিধি দলের।
শ্রীলঙ্কায় ৯টি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। ফলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কলোম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গির্জা, নেগাম্বোর সেন্ট সেবাস্টিয়ান গির্জা এবং বাট্টিকোলার আরেকটি গির্জা, পাশাপাশি তিনটি হোটেলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলা এড়ানো যেত, এই মর্মে তদন্তকারীদের কাছে স্বীকারোক্তির পরেই গোয়েন্দা প্রধানকে বরখাস্ত করেন রাষ্ট্রপতি সিরিসেনা।
২১ এপ্রিল হামলার পর, শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা সংস্থার কাছে একাধিক সতর্কবার্তা পাঠায় ভারত।শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে এবং রাষ্ট্রপতি মৈথিলিপালা সিরিসেনা বলেন, সেই তথ্য সবাইকে ঠিকমতো জানানো হয়নি।
চিনের প্রভাব ক্রমশ বাড়ায় শ্রীলঙ্কা এবং মলদ্বীপ সফর প্রধানমন্ত্রী মোদীর। মলদ্বীপে, একটি উপকূল রেডার সিস্টেম এবং মিলিটারি ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন করার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সফরকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্যুইট করেন, “আমার বিশ্বাস, আমার মলদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কা সফর “প্রতিবেশীরা প্রথম”, নীতিতেই আমাদের এই প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে, এবং পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও বৃদ্ধির অগ্রগতি হবে।".